ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী যারা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী যারা

মাদারীপুর: শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন। সোমবার(১৭ অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে বিরতীহীন ভাবে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ।

 

নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মুনীর চৌধুরী বিজয়ী হয়েছেন। সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শিবচরের ইলিয়াস পাশা। এছাড়া অন্যান্য পদে সোমবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ভোট গ্রহণের পর ফলাফল শেষে সাধারণ সদস্য পদে সদর উপজেলায় উটপাখি প্রতীকে মহিউদ্দিন খান ১৪৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের আবুবকর সিদ্দিক পেয়েছেন ৬১ ভোট। কালকিনি উপজেলায় তালা প্রতীকে রফিকুল ইসলাম ৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অটোরিকশা প্রতীকের আবদুল্লাহ আল মামুন পেয়েছেন ৭০ ভোট। ডাসারে হাতি প্রতীকে মীর মামুন অর রশিদ ২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কাসেম হাওলাদার টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ ভোট। সংরক্ষিত মহিলা আসন -১ (সদর, কালকিনি ডাসার) বই প্রতীকে রোকসানা পারভীন ২০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন টেবিলঘড়ি প্রতীকের সেহেলী ইয়াসমিন। তিনি পেয়েছেন ১৪৩ ভোট। অন্যদিকে সংরক্ষিত মহিলা আসন- ২ (রাজৈর শিবচর) ফুটবল প্রতীকে আয়শা সিদ্দিকা ৩০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোসা. সেলিনা বেগম হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ৯৫ ভোট।

মাদারীপুর জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই করা হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। পরে বাছাইয়ের বিরুদ্ধে ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর চলে আপিল দায়েরের। এছাড়া আপিল নিষ্পত্তি ২২-২৪ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। পরে ২৬ সেপ্টেম্বর হয় প্রতীক বরাদ্দ। আর ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।  

মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আল মামুন জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার প্রার্থীর মুনীর চৌধুরী নির্বাচিত হন। এছাড়া সদর উপজেলায় সদস্য পদে ২ জন, কালকিনিতে ২ , ডাসার ৪, রাজৈর ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে শিবচর উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে বিনাপ্রতিদন্দ্বীতায় মো. ইলিয়াস হোসেন পাশা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনে সদর, কালকিনি ও ডাসার উপজেলা থেকে ৫ জন এবং রাজৈর ও শিবচর উপজেলা থেকে দুইজন প্রতিদন্দ্বীতা করেন।  

রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা প্রতিটি কেন্দ্রে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজৈর উপজেলায় সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।