ঢাকা: আসন্ন পৌর নির্বাচনে উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রের সমন্বিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়নের চিন্তা-ভাবনা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতেই এ ধরণের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ওই পৌরসভার সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও জেলা কমিটি এবং কেন্দ্রের সমন্বিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে।
এই প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় করবেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক। এর বাইরে সার্বিক মনোনয়ন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবেও একটি টিম করা হতে পারে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রার্থিতার জন্য আবেদন পত্র চাওয়া হবে। আবেদনকারীদের মধ্য একজনকে দলের মনোনয়ন দেয়া হবে।
তাছাড়া দলের একক প্রার্থী নিশ্চিত করার জন্য দলের কাছে প্রার্থিতা আবেদনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চিঠিও চাওয়া হবে। এর ফলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে কোনো প্রক্রিয়াই এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কার্যনির্বাহী সংসদের সভায়ই মনোনয়নের প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি কি হবে তা চূড়ান্ত করা হবে বলে দলের নেতারা জানান।
এদিকে পৌর নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও সংসদীয় বোর্ডের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। এবার থেকে পৌরসভাসহ স্থানীয় পর্যায়ের সকল নির্বাচনে দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন পদ্ধতি চালু হবে। পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী দেয়া হবে দলীয়ভাবে। মেয়র প্রার্থীরা দলীয় মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
এবারই প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে এ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয় বা পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু বলা নেই। শুধুমাত্র জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের জন্য সংসদীয় বোর্ড রয়েছে। তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কার্যনির্বাহী সংসদের সঙ্গে সংসদীয় বোর্ডকেও ডাকা হয়েছে। এই সভায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী মনোয়নের পদ্ধতি সম্পর্কে একটি রূপরেখা তৈরি করা হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আসলে এ ব্যাপারে আগেই কিছু বলা যাচ্ছে না। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন একটি পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে প্রার্থী মনোনয়নের পদ্ধতি কি হবে সেটা কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আমরা সকলে বসেই সিদ্ধান্ত নেবো। বৃহস্পতিবার এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। এখনই নির্দিষ্ট করে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বাংলানিউজকে বলেন, এখনও আমরা কিছু জানি না আসলে প্রার্থী মনোনয়ন পদ্ধতি কি হবে। বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আছে, এই সভাতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
এসকে/আরআই
** আওয়ামী লীগের জরুরি সভা বৃহস্পতিবার