ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন ১৫ দিন পেছানোর শর্ত বিএনপির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
পৌর নির্বাচন ১৫ দিন পেছানোর শর্ত বিএনপির ড. আসাদুজ্জামান রিপন

ঢাকা: পনেরো দিন পেছানোর শর্ত সাপেক্ষে পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

রিপন বলেন, সরকার সম্পূর্ণ দূরভিসন্ধিমূলকভাবে তড়িঘড়ি করে পৌরসভা আইন সংশোধন করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার এ নির্বাচনকে নিজেদের অনুকুলে রাখার অপচেষ্টা করছে।

নির্বাচনের আগে যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা রেখে নানা প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও বিএনপি স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে । কিন্তু এ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও সকল দলের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড জরুরি।

তিনি নির্বাচনের কিছু প্রক্রিয়া নিয়ে বলেন, মনোনয়ন দাখিলের ক্ষেত্রে দলের শুধুমাত্র একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। যা রাজনৈতিক অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ দলের একজন মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলে এ পদে সে দলের কোনো বিকল্প প্রার্থী থাকার আর কোনো সুযোগ থাকবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ বিধান সরকারি কূটকৌশলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনোনয়ন দাখিলের জন্য তফসিল ঘোষণার পর থেকে পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ৪৫ দিন সময় থাকে। কিন্তু পৌর নির্বাচন ক্ষেত্রে মাত্র ৩৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। কমিশন বাস্তবতার নিরিখে বিষয়গুলো আমলে নিয়ে ঘোষিত তফসিল পুনর্বিবেচনা করে ১৫ দিন নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আমরা আশা করি।

ড. রিপন আরও বলেন, একজন প্রার্থীর প্রস্তাবক ও সমর্থক কেবল একজন মেয়র অথবা কাউন্সিলরের প্রস্তাবক-সমর্থক হতে পারবেন মর্মে বিধান রাখা হয়েছে। অথচ একজন ভোটার ‘মেয়র’ ও ‘কাউন্সিলর’ পদেও ভোট দেওয়ার অধিকারি। এ ক্ষেত্রে বিধানটি একজন নাগরিকের ভোটাধিকারের মূলনীতির পরিপন্থি। এতে অনেক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হতে পারে। এমতাবস্থায় একজন ভোটারের মেয়র ও কমিশনারের উভয় ক্ষেত্রে প্রস্তাবক ও সর্মথক হওয়ার সুযোগ রাখা প্রয়োজন।

তিনি দাবি করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে জনপ্রশাসনের দলীয় কর্মকর্তাদের পরিহার করে কমিশন সচিবালয়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা আবশ্যক। পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ওইসব উপজেলা ও থানার নির্বাচনী পৌরসভার ইউএনও এবং ওসিদের বদলি করে নিরপেক্ষ ইউএনও এবং ওসি পদায়ন করা দরকার। একইসঙ্গে একাধিক স্থান থেকে মনোনয়ন উত্তোলন বা জমা দেওয়ার বিধান রাখাও প্রয়োজন।

বিএনপির মুখপাত্র অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকার অঘোষিত সেন্সরশিপ আরোপ করেছে। কয়েকটি পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল পেশাদারিত্ব বজায় রাখা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন সেগুলোকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিরাপত্তার ঠুনকো অজুহাতে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রচারণা ও জনমত গঠনের স্বার্থে এগুলো খুলে দেওয়া আবশ্যক।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫/আপডেট ১৭৪১ ঘণ্টা
এজেড/বিএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।