ধুনট(বগুড়া): তফসিল ঘোষণার পর বগুড়ার ধুনট পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা আরও তৎপর হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের অনেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
পৌর নির্বাচন হলেও আমেজ সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় নির্বাচনের। এবার প্রার্থী মনোনয়ন দেবে রাজনৈতিক দলগুলো। প্রথম বারের মতো মেয়র প্রার্থীরা লড়বেন দলীয় প্রতীকে। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো বর্জন করায় লড়াই তেমন জমজমাট হয়নি।
তবে, পৌর নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর পুরো চিত্রটাই পাল্টে গেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সরাসরি দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে এবারের পৌর নির্বাচন যেন জাতীয় নির্বাচনেরই মহড়া।
ক্ষমতাসীন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগে থেকেই মাঠে তৎপর হলেও বিএনপি পৌর নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু বিএনপির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর বেশ জমছে ভোটের মাঠ। তবে, এর আগ থেকেই ভেতরে ভেতরে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। দলীয় হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা।
রাজনৈতিক সচেতন মহলের মতে, ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয় লাভের কারণে নির্বাচনী আমেজ ছিল না। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে সব দলই। বর্তমানে পৌরসভায় দলীয় প্রার্থী মনোনয়নে যাচাই-বাছাই চলছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে দলের কাছে আবেদন করেছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিআইএম নুরুন্নবী তারিক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র এজিএম বাদশাহ্, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বর্তমান কাউন্সিলর আল-আমিন ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মিন্টু।
এছাড়া বিএনপির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আলিমুদ্দিন হারুন মণ্ডল, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকতার আলম সেলিম ও পৌর বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হোসেন চঞ্চল প্রচারণা চালাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের ৫ জন এবং বিএনপির ৩ জন মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়ালেও অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের মেয়র প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না।
ধুনট পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৯১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ৯০৬ জন এবং নারী ভোটার ৫ হাজার ১০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
পিসি/