সিলেট: তৃণমূলের সিদ্ধান্ত ডিগবাজি দিয়ে সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বর্তমান মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু।
তৃলমূল থেকে প্রার্থী হিসেবে তার নাম প্রস্তাব করেনি জেলা আওয়ামী লীগ।
সৈয়দ মিসবাহ’র পরিবর্তে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে বর্তমান ও পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক পাপলুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এখন সিলেটের তিন পৌরসভায় বর্তমান মেয়ররা আওয়ামী লীগের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) রাতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বিভিন্ন পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।
এ সময় গোলাপগঞ্জের মেয়র প্রার্থী হিসেবে পাপলুর নাম ঘোষণা করা হয় বলে জানান আওয়ামী লীগর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ।
তবে গোলাপগঞ্জে প্রার্থী পরিবর্তন করলেও জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটে তৃণমূলের সুপারিশ করা প্রার্থীকেই চুড়ান্ত করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। জকিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খলিল উদ্দিন এবং কানাইঘাটে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক লুৎফুর রহমান এবারও দলীয় প্রার্থী।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চেয়ে জাকারিয়া আহমদ পাপলু স্বাক্ষর ছাড়া একটি দরখাস্ত দিয়েছেন। তা গ্রহণ করা হয়নি। যে কারণে ওই পৌরসভায় মেয়র পদে একজনের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিলো।
তৃণমূলের সিদ্ধান্ত বদলে যাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য ঢাকায় গিয়ে আবেদন করেছিলেন জাকারিয়া আহমদ পাপলু। কেন্দ্র যাচাই-বাছাই করে তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নির্বাচনী এলাকা গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার। তাই মন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ থাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ বর্তমান মেয়র হওয়া সত্ত্বেও পাপলুর নাম বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থী শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ট লোক সৈয়দ মিসবাহকে মনোনীত করে। তবে কেন্দ্র মূল্যায়ন করেছে পাপলুকেই।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জাকারিয়া আহমদ পাপলু বাংলানিউজকে বলেন, তৃণমূল থেকে নাম প্রস্তাব না করা হলেও কেন্দ্র আমাকে মূল্যায়ন করেছে। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এনইউ/এএসআর