ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

পৌর নির্বাচন

ফুলবাড়িয়ায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৫
ফুলবাড়িয়ায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী চাঁন মাহমুদ সরকার

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন উমর ফারুক। বিদ্রোহ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য চাঁন মাহমুদ সরকার।



বুধবার (০২ ডিসেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড উমর ফারুককে মনোনয়ন দেয়। বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) শেষদিনে মনোনয়নপত্র জমা দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চাঁন মাহমুদ সরকার।

চাঁন মাহমুদ সরকারের সমর্থকদের অভিযোগ, মাস কয়েক আগে জামায়াত থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন উমর ফারুক। তাকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ। এ অভিযোগে শামসুদ্দিন ও দলীয় প্রার্থী উমর ফারুককে উপজেলায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন।

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ অভিযোগ করেন, খোলস পাল্টে জামায়াত-শিবিরের নেতা উমর ফারুক বিএনপির মনোনয়ন নিয়েছেন।

তিনি বলেন, উমর ফারুক ফুলবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন উপজেলা জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার দলের নিবন্ধন বাতিল এবং ধরপাকড় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে প্রকৌশলী শামসুদ্দিনকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে বিএনপি’র মনোনয়ন নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মাসুদ।

মাসুদ বলেন, ফারুক ‘নকল বিএনপি’। কোনোদিন দল করেননি, অথচ হুট করে দলে এসে মনোনয়ন ভাগিয়ে নেবেন- এমন নেতাকে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা মানবেন না। তাই শামসুদ্দিন ও উমর ফারুককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে।

দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফুলবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি শমসের আলী অভিযোগ করেন, তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে মেয়র পদে মনোনয়ন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ম্যাডাম (খালেদা জিয়া)। কিন্তু তার এ নির্দেশ মানা হয়নি। উল্টো মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সদ্য জামায়াত থেকে আসা নেতার হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিয়েছেন শামসুদ্দিন।

দলছুট জামায়াত নেতার বিএনপির মনোনয়ন দলের রাজনৈতিক দৈন্যতার প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন শমসের।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য আখতারুল আলম ফারুক অভিযোগ করে বলেন, দলে যোগ্য ও জনপ্রিয় অনেক নেতা থাকলেও কয়েক মাস আগে বিএনপিতে যোগ দেওয়া জামায়াত নেতার মনোনয়ন দলের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ তৈরি করছে।

ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া ওমর ফারুক দাবি করেন, আমি কখনো জামায়াত করি নাই। ছাত্রজীবনে ৩/৪ বছর শিবিরের রাজনীতি করেছি। দুই বছর ধরে বিএনপির রাজনীতি করছি। আমি নকল না আসল তা কেন্দ্রীয় বিএনপিই বলবে। ৪০ লাখ টাকা দেওয়ার কথাও কেউ প্রমাণ করতে পারবেন না।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুদ্দিন, উমর ফারুককে মনোনয়ন দিতে সুপারিশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ম্যাডামের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। এক সময় উমর ফারুক জামায়াত করতেন বলে শুনেছি। এখন তো তিনি বিএনপি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।