ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ‘উপরের নির্দেশে’ রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ করেছেন দুই মেয়র প্রার্থী।
স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে যেতে ইচ্ছুক অভিযোগকারীরা শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বরবার লিখিত অভিযোগ করেছেন।
নাজমা আক্তার অভিযোগ করেন- আসন্ন দাউদকান্দি পৌরসভা নির্বাচনের তিনি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া জন্য সব রকম কাগজপত্র নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপরের নির্দেশ আছে। এছাড়া তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হলে প্রাণনাশের সম্ভাবনা আছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর তিনি নাজমাকে ফেরত পাঠিয়ে মেইন গেইটে তালা লাগিয়ে দেন। এ অবস্থায় অভিযোগকারী সিইসির কাছে রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়াসহ তার মনোনয়নপত্র গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।
এদিকে, মো. শাহজাহান মিয়া নামে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থীও একই অভিযোগ করেছেন।
নাজমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমি ও আমার স্বামী মো. শাহজাহান মিয়া দু’জনেই স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাই। কিন্তু মূল গেইট বন্ধ থাকায় অনেক চেষ্টার পর ভেতরে প্রবেশ করি। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিলে তিনি বলেন, আপনারা দুই মিনিট দেরি করেছেন। এখন পাঁচটা দুই বাজে। তাই মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা যাবে না।
এদিকে, রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ের ভেতরে থাকলেও এবং পাঁচটা পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের নজির ইতোপূর্বে রয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় এমন ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় হট্টগোলের কারণে নির্দিষ্ট সময় বিকেল পাঁচটার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বেশ কিছু প্রার্থী। তারা পাঁচটার কিছু সময় পরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করায় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা আদালতে রিট করেছিলেন। আদালত দুই সিটিতে প্রায় ১৭ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
দাউদকান্দি পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। তিনি নাজমা আক্তার ও শাহজাহান মিয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এটি মিথ্যা অভিযোগ। আমার কাছে প্রমাণ আছে- ওই প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার অনেক পরে এসেছেন। এ সংক্রান্ত তথ্যও আমার কাছে আছে। তাই যা করা হয়েছে আইন মেনেই করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
ইইউডি/আইএ