জকিগঞ্জ, সিলেট থেকে: এপারে জকিগঞ্জ, ওপারে করিমগঞ্জ। মাঝে বয়ে গেছে কুশিয়ারা নদী।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তাঞ্চল জকিগঞ্জের এবারের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ছয়জন। কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩১ জন, আর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৮ জন।
মেয়র পদের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান (নৌকা প্রতীক), বিএনপির বদরুল হক বাদল (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির আব্দুল মালেক ফারুক (বর্তমান মেয়র, লাঙল), খেলাফত মজলিসের জাফরুল ইসলাম (দেওয়াল ঘড়ি), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক আহমদ (জগ) ও হিফজুর রহমান (মোবাইল ফোন)।
নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের একদিন পর মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের বাস টার্মিনাল থেকে ডাক বাংলো এলাকা এবং লামার গ্রাম থেকে কুশিয়ারা নদীর পাড় পর্যন্ত ঘুরে কেবল প্রার্থীদের সাদা-কালো পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারের নিচে ঢাকা পড়তে দেখা যায় প্রশাসনিক নির্দেশনার বোর্ড, এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডও। প্রার্থীদের এসব পোস্টারে দেখা যায় তাদের অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রমাণের কিছু বিশেষণ। ভোটারদের আকৃষ্ট করার খানিক প্রতিশ্রুতি।
পাশাপাশি সড়কে টক্কর দিতে দেখা যায় প্রচারণা মাইকিংকে। মাইকিংয়ে গীতে-শ্লোকে-স্লোগানে প্রার্থীদের গুনগান গাইছেন তাদের সমর্থকেরা। বলে যাচ্ছেন প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির কথাও। চেয়ে যাচ্ছেন দোয়া-সমর্থনও।
ঘুরতে ঘুরতেই আলাপ হয় জকিগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা ডা. আবদুল হক, আলিম সরদারসহ বেশ ক’জনের সঙ্গে। তারা জকিগঞ্জ পৌরসভার অনুন্নয়ন হতাশা-ক্ষোভের কথা বলেন। বলেন দূরবর্তী উপজেলা হওয়ায় একেবারে অবহেলার কথাও। তবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, অতীতের ব্যর্থতায় ভেসে যাবেন না নতুন নির্বাচিত মেয়রও। যাকে ভেসে যাবেন না বলে মনে হবে, তাকেই ভোট দেবেন বলে জানান আবদুল হক-আলিম সরদাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫
এইচএ/এএ
** বছর ধইরা মাঠ ঠিক করছি, এখন সরতাম কিতার লাগি
** লাখ লাখ টেকার ভুট এক হাজারে বেচিয়া কতদিন খাইবা?
** এখানে কুনো ভুটো কারচুপি অইছে না
** ডিজিটাল রেল, সময়ানুবর্তী রেল