শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়, নাটোর থেকে: বড় হরিশপুরে শের-ই-বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২য় তলার ৪ নং কক্ষ। সেখানেই চলছে ভোট গণনার প্রস্তুতি।
বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্ট বলেন, আমরা বাক্স থেকে ব্যালট ঢালার একটি ছবি তুলবো। অনুরোধের পর এনএস স্কুলের শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, 'ওকে একটার বেশি দুটি না। একটা ছবি তুলেই বের হয়ে যাবেন। এখানে দাঁড়ানো যাবে না। '
এর অাগে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে একই কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেন তিনি। এদিকে সকাল থেকেই জেলার ৬টি পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারদের বাধার সম্মুখীন হতে হয় সাংবাদিকদের।
সিংড়া চলনবিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের মাঠে এক বৃদ্ধা ভোটারের সঙ্গে কথা বলছিলেন বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্ট। প্রিজাইডিং অফিসার এসে প্রশ্ন করলেন, ‘আমার অনুমতি না নিয়ে ঢুকলেন কেন?’ করেসপন্ডেন্ট পাল্টা জানতে চাইলেন, ‘কেন্দ্রে না ঢুকলে গেটের বাইরে থেকে অনুমতি চাইবো কিভাবে?’
এবার শান্ত হলেন প্রিজাইডিং অফিসার। বললেন, ‘ঠিক অাছে আমার অনুমতি ছাড়া কোন বুথে প্রবেশ করবেন না। কারো সঙ্গে, এমনকি ভোটারের সঙ্গ কথা বলতে চাইলেও অনুমতি লাগবে। ’
প্রিজাইডিং অফিসারদের এ ধরনের অসহযোগিতামূলক আচরণের অভিযোগ আরো রয়েছে।
সকাল থেকে অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিলো জোড় মল্লিকা নিংগাই দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। বিএনপি প্রার্থী শামীম আল রাজীর পোলিং এজেন্টকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছিল না বুথে। এছাড়াও সরকারদলীয় কর্মীরাও সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছিলেন।
এ কেন্দ্রে বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্টকে দেখে প্রিজাইডিং অফিসার ফারুক হোসাইন জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি সাংবাদিক? আপনার এখানে কাজ কি?’
রিপোর্ট কাভার করতে এসেছি জবাবে ফারুক কড়া ভাষায় বলেন, ‘এক কেন্দ্রে এবং কোন বুথে একবারের বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না। আর প্রবেশ করার সময় অবশ্যই অামার অনুমতি নিয়ে ঢুকবেন। ’
বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্ট জানতে চান, আপনি তো কেন্দ্রে ব্যস্ত। খুঁজবো কতক্ষণ ধরে? প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, ‘যখন পাবেন তখন ঢুকবেন। ’
এই কেন্দ্রে ডেমোক্রেসি ওয়াচের নির্বাচন পর্যবেক্ষক আরমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এখানকার প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই সকাল থেকে আমাকে কোন বুথে প্রবেশ করতে দেননি। কেন্দ্রে কিছু সমস্যা ছিল। বেলা এগারোটার দিকে রিটার্নিং অফিসার এবং দুই প্রার্থী এসে কেন্দ্রের পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে প্রিজাইডিং অফিসার আমাকে বলেছেন, একবারের বেশি কোন বুথে প্রবেশ করা যাবে না। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএন/আরআই
** সাংবাদিকদের বাধা দিচ্ছেন প্রিজাইডিং অফিসাররা