ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত নবম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের ৪৭ শতাংশের কিছু বেশি পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি পেয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ ভোট।
এবার ৪ হাজার ১০৪টি ইউপিতে নির্বাচন হয়েছে। সারাদেশের মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তৈরি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৬ কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৮ জন। এর মধ্যে ৫ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার ২৫৯ জন ভোট দিয়েছেন। যা মোট ভোটের ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা পেয়েছেন ২ কোটি ১৬ হাজার ৪৯৪ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ৪৭ দশমিক ১০ শতাংশ।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ১ কোটি ৫০ লাখ ৬১ হাজার ১৪৭ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
আর বিএনপির প্রার্থীরা পেয়েছেন ৯৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬১২ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১০ লাখ ১২ হাজার ৯৭১ ভোট। যা শতাংশের দিক থেকে ২ শতাংশের কিছু বেশি।
অবশিষ্ট দলগুলো সম্মিলিতভাবে পেয়েছে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোট।
দলগুলোর মধ্যে সাম্যবাদী দল পেয়েছে ২ হাজার ৯৯১ ভোট, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ ২৭ হাজার ২২০ ভোট, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ১০ হাজার ৬৮৩ ভোট, এলডিপি ৮ হাজার ৭৮৭ ভোট ও জাতীয় পার্টি-জেপি পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪০২ ভোট।
এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ পেয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৫৩ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি ৭ হাজার ৩৪৭ ভোট, জাকের পার্টি ১৭ হাজার ৮৭৭ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ৮২৭ ভোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ৭২ হাজার ৬৪১ ভোট, বিকল্পধারা বাংলাদেশ ৮৮০ ভোট, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল পেয়েছে ৪ হাজার ২৬৬ ভোট।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১ হাজার ৬৮৮ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ৩ হাজার ৯৫২ ভোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ২৮ হাজার ৮০ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন পেয়েছে ৬ হাজার ৩৪৫ ভোট।
অন্যদিকে ইসলামী ঐক্যজোট পেয়েছে ৯ হাজার ৭১৫ ভোট, খেলাফত মজলিস ৩ হাজার ৬৫৮ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২৬১ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৫ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি ১ হাজার ২৬০ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাপ ১ হাজার ৪৬৬ ভোট, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১ হাজার ৫৫৪ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ১৮ হাজার ৯৩৫ ভোট, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২১০ ভোট, বিএনএফ ৭ হাজার ২৫৯ ভোট ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) পেয়েছে ৬৬ ভোট।
আসন সংখ্যা অনুযায়ী, ছয় ধাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২ হাজার ৬৬৭ ইউপি, বিএনপি ৩৬৭ ইউপি, জাতীয় পার্টি ৫৭ ইউপি, জাসদ ৮ ইউপি, জাতীয় পার্টি-জেপি ৫ ইউপি, ওয়ার্কার্স পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩টি করে ইউপি এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও জাকের পার্টি ১টি করে ইউপিতে জয় পেছেন। অবশিষ্ট ২১টি দল কোন ইউপিতে জয় লাভ করতে পারেনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৮৮৮ ইউপিতে। আর নির্বাচনে অনিয়মের কারণে ১০৪ ইউপির স্থগিত কেন্দ্রে ফের ভোট হবে।
ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একজন উপ-সচিব বাংলানিউজকে জানান, স্থগিত ভোটকেন্দ্রগুলোতে ঈদ-উল ফিতরের পর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, রাঙ্গামাটির বেশ কিছু ইউপির ফলাফল এখনো সঠিকভাবে সমন্বয় করা যায়নি। সেগুলো সমন্বয় করা হলে ভোটের এ চিত্র সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে তফসিল ঘোষণা করে ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে ইউপি নির্বাচন সমাপ্ত করে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস