ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন

সিলেটে কেন্দ্রে ভোটারদের মোবাইল ফোন নিষিদ্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
সিলেটে কেন্দ্রে ভোটারদের মোবাইল ফোন নিষিদ্ধের দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে সংসদ সদস্যদের বিশেষ বরাদ্দ বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। একই সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটারদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।

সিলেট: জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে সংসদ সদস্যদের বিশেষ বরাদ্দ বন্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। একই সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটারদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধের দাবি জানান তারা।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্বাচনী আচরণবিধি ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায়’ এসব দাবি জানিয়েছেন বেশিরভাগ প্রার্থী।

ভোট কেনা-বেচার অভিযোগ তুলে ধরে প্রার্থীরা বলেন, নির্বাচনের আগে ভোটারদের ভোট বাগিয়ে নিতে সংসদ সদস্যরা বিভিন্নভাবে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ভোট দিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলে এনে দেখানোর জন্য ভোটারদের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ কারণে কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধের দাবি তোলেন প্রার্থীরা।

সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. জয়নাল আবেদীন প্রার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, নির্বাচনের আগে সংসদ সদস্যদের যেকোনো ধরনের বরাদ্দ বন্ধ করা হবে। ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনী কাজে নিয়োজিতরা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। এসব আইন অমান্যকারীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জেল-জরিমানা হতে পারে।

নির্বাচনের আগে ভোটারদের যেন পরোক্ষভাবে আর্থিক বা অন্য কিছু বরাদ্দ না দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও দেন জেলা প্রশাসক।

মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের সতর্ক করে জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, যারা দেয়ালে পোস্টার-লিফলেট লাগিয়েছেন, তাদেরকে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার মধ্যে তা সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় নির্বাচনী কর্তব্যে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ব্যবস্থা নেবেন।

রিটার্নিং অফিসারের এমন হুশিয়ারিতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন।

সভায় বক্তব্য দেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, সিনিয়র জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম এবং ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার কর্মকর্তারা।

চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে এনামুল হক সর্দার এবং সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে জামাল খান, এটিএম হাসান জেবুল, ফয়ছল আহমদ মুন্না, জেবুন্নাহার শিরিনসহ ১৫-১৬ জন তাদের অভিযোগ, অনুযোগ ও মতামত তুলে ধরে সভায় বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এনইউ/জিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad