ইসির সভাকক্ষে সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নেয় খেলাফত মজলিশ ও মুসলিম লীগ।
মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে খেলাফত মজলিশের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
খেলাফত মজলিশের সঙ্গে সংলাপের পর ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, খেলাফত মজলিশের পক্ষে থেকে একগুচ্ছ সুপারিশ করা হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে-ইসিকে শক্তিশালী করে নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতকরণ, সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সংলাপের আয়োজন, নির্বাচনকালে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর ইসির নিয়ন্ত্রণ, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে মোতায়েন, ইসি কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, ২০০৮ সালের সীমানায় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।
এছাড়া নির্বাচনে কালোটাকা-পেশি শক্তির ব্যবহার রোধ, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমাদানের ব্যবস্থাকরণ, সরকারি প্রচারয্ন্ত্র ব্যবহারে সকল দলের সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ, ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের ৫ বছর পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি, প্রতি ১ হাজার ভোটারের জন্য কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রবাসীদের ভোটদানে ব্যবস্থাকরণের প্রতি জোর দিয়েছে দলটি।
এদিকে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সংলাপে যেসব সুপারিশ করেছে এগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সেনা মোতায়েন, সর্বোচ্চ নির্বাচনী ব্যয় ১ কোটি টাকা করা, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনকালে সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া প্রভৃতি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, দলগুলোর কিছু প্রস্তাব রাজনৈতিক। কিছু প্রস্তাব আছে সাংবিধানিক প্রস্তাব। রাজনৈতিক প্রস্তাবে রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করা সম্ভব। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কিছু করতে পারবে না। তবে বিহাইন্ড দ্যা স্ক্রিন কিছু করার আছে।
রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করার জন্য ইসি উদ্যোগ নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছে, ফৌজদারি বা ক্রিমিনাল মামলায় ইসি কিছু করবে না। অন্য মামলাগুলো প্রত্যহারের বিষয়েও নির্বাচন কমিশন কিছুই বলেনি। কেবল বলেছে-সহিংস মামলাগুলোর বিষয়ে ইসির কিছু করার নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
ইইউডি/আরআই