ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

টগি ওয়ার্ল্ডে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির টিম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
টগি ওয়ার্ল্ডে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ ছবির টিম

ঢাকা: সুন্দরবনে নৌবিহারে গিয়ে একদল শিশুর ডাকাতদের কবলে পড়া ও উদ্ধার হয়ে ফিরে আসার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র ‘অ্যাডভেঞ্জার অব সুন্দরবন’। বসুন্ধরা নুডলস নিবেদিত এ শিশুতোষ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২০ জানুয়ারি।

এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শিশুতোষ সিনেমাটির প্রচারণা চালানো হয় রাজধানীর টগি ফান ওয়ার্ল্ডে। এ সময় চলচ্চিত্রটির নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল, অভিনেতা কচি খন্দকার, শিশু শিল্পীরাসহ অন্যান্য শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সিনেমাটির কলাকুশলীরা টগি ফান ওয়ার্ল্ডের শিশুদের সঙ্গে আনন্দ-আড্ডায় মেতে ওঠেন এবং তাদের বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উপহার দেন। একইসঙ্গে সিনেমাটি মুক্তির পর সবাইকে পরিবারসহ হলে গিয়ে দেখার জন্য তারা আহ্বান জানান।

মুহম্মদ জাফর ইকবালের জনপ্রিয় কিশোর উপন্যাস ‘রাতুলের দিন রাতুলের রাত’ অবলম্বনে নির্মিত শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’। সরকারি অনুদানে আবু রায়হান জুয়েলের নির্মাণে এ সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে সিয়াম আহমেদ ও পরীমণিকে।

সিনেমাটি নিয়ে নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল বলেন, অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন শিশুদের সুস্থ বিনোদনের জন্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র। সিনেমাটি সব বয়সীরাই দেখতে পারেন। প্রত্যাশা করি সবাই সিনেমাটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে আসবেন। এছাড়া শুটিংয়ের মাঝপথে মহামারি শুরু হওয়ায় সিনেমার কাজ কিছুটা দেরি হয়েছে। তারপরও সিনেমায় অভিনয় করা শিশুদের বাবা-মায়েরা ওই সময়টায় অনেকভাবে সাহায্য করেছেন। বাচ্চারাও অনেক উৎসাহ দিয়েছে।

তিনি বলেন, বসুন্ধরা নুডলস নিবেদিত অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন সিনেমাটি শিশুতোষ। আর টগি ফান ওয়ার্ল্ডে শিশুরা বেশি আসে। এছাড়া টগি ফান ওয়ার্ল্ড অ্যাডভেঞ্চার টাইপের। আমাদের সিনেমাও অ্যাডভেঞ্চারের। তাই আমরা সিনেমার প্রচারণার জন্য এ জায়গা বেছে নিয়েছি। ১৪ জন শিশু ২৪ দিনব্যাপী জাহাজে অবস্থান করে এ সিনেমায় অভিনয় করেছে। তারাও এখানে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাচ্ছে।

এ সিনেমাটির অভিনেতা কচি খন্দকার বলেন, বাংলা চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কী শিশুতোষ, কী চলচ্চিত্র, সব জায়গাতেই আমরা চলচ্চিত্রের প্রতি মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখছি। আর এ আগ্রহের সময়টাতেই প্রকাশ পাচ্ছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্পে অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন। আমি মনে করি এটি চলচ্চিত্রের একটি নতুন দিক তৈরি করে দেবে। বাংলাদেশে শিশুদের জন্য অনেক কম চলচ্চিত্র হয়। সেক্ষেত্রে এ চলচ্চিত্র শিশুদের চাহিদা পূরণ করবে। যে শিশুটি সুন্দরবন সম্পর্কে জানতো না, সে সুন্দরবন সম্পর্কে জানবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে জানবে। এ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে সে বাংলাদেশকে পাবে। আমরা ঐতিহাসিক একটি গল্পের মুহূর্ত পাবো।

এর আগে রাজধানীর একাধিক স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন জায়গায় সিনেমাটির প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়া সিনেমাটির ট্রেইলার ও গান প্রকাশের পর থেকে তা বেশ আলোচিত হয়েছে দর্শক মহলে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।