পাঁচ মাসের জন্য দেশের বাইরে গেছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। সোমবার (১৫ মে) রাত ১২টার ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন তিনি।
জানা গেছে, বরাবরের মতো এবারো ছেলে অনিকের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যই দেশটিতে গেছেন এই অভিনেত্রী। ছেলেকে নিয়ে ইউরোপের কয়েকটি দেশে ঘুরার পরিকল্পনাও আছে তার।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে ববিতা বলেন, এক মাস আগেই ফ্লাইটের টিকিট বুকিং দিয়েছিলাম। অনেকে বলবেন, ফারুক ভাইকে শেষ বিদায় না জানিয়ে আমি দেশ ছাড়ছি। আগেই টিকিট চূড়ান্ত করায় এখন চাইলেও সেটা বাতিল করতে পারিনি।
তবে এই অভিনেত্রী বলেন, দেশে ফিরে নিশ্চয়ই ফারুক ভাইয়ের কবর জিয়ারত করতে যাব।
কিংবদন্তি নির্মাতা জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে ১৯৬৮ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ববিতার। এখানে তিনি রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে ফরিদা আক্তার পপি থেকে ‘ববিতা’ হয় ওঠেন জহির রায়হানের উর্দু সিনেমা ‘জ্বলতে সুরুজ কি নিচে’র মাধ্যমে।
নায়িকা হিসাবে ববিতার প্রথম সিনেমা ‘শেষ পর্যন্ত’ মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট, যেদিন ববিতার মা মারা যান। এতে তার নায়ক ছিলেন রাজ্জাক।
আলোচিত সিনেমা ‘টাকা আনা পাই’ ববিতাকে চলচ্চিত্রের শক্ত আসন দিলেও তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সিনেমা বলা হয় সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’কে। এ সিনেমায় অভিনয় করে ববিতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ প্রশংসা অর্জন করেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ২৫০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন এ অভিনেত্রী। স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
ববিতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে-‘অশনি সংকেত’, ‘নিশান’, ‘মন্টু আমার নাম’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘মায়ের জন্য পাগল’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘স্বরলিপি’, ‘তিনকন্যা’, ‘শ্বশুরবাড়ি’, ‘মিস লঙ্কা’, ‘জীবন সংসার’, ‘লাইলি মজনু’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘লাঠিয়াল’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি, ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
এনএটি