ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

বিনোদন

নাট্যকার মুনীর চৌধুরী ও যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাসকে স্মরণ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
নাট্যকার মুনীর চৌধুরী ও যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাসকে স্মরণ

‘মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়।

’- নাট্যকার মুনীর চৌধুরী উক্তিটি রক্তাক্ত প্রান্তর নাটকে সুজাউদ্দৌলা কতৃক প্রতিষ্ঠিত করিয়ে আবার নিজেই সেটাকে ভুল প্রমাণ করে মৃত্যুর অর্ধশত বছর পরেও বেঁচে আছেন বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার মুনীর চৌধুরী।

বেঁচে ছিলেন যতদিন তার চেয়েও বেশি বেঁচে আছেন অন্তর্ধানের পরে। তিনি শুধু নাট্যকারই নন, ছিলেন একাধারে শিক্ষক, গবেষক, ভাষাতত্ত্ববিদ, প্রবন্ধকার, অনুবাদক, ছোট গল্পকার, শিল্প ও সাহিত্য সমালোচক, অভিনেতা, নাট্য-নির্দেশক এবং বাংলা কিবোর্ডের প্রবর্তক। মুনীর চৌধুরী তার সময়কার বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি।

যুক্ত ছিলেন সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গেও। জেল খেটেছেন, শিক্ষকতা করেছেন, বক্তৃতা দিয়েছেন এমনকি জীবনে অর্জন করেছেন নানান বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয়েছে নিজস্ব রাজনৈতিক দর্শন ও জীবনভাবনা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ১১ জুন শুরু হয় প্রয়াত চলচ্চিত্র, নাট্য ও যাত্রা শিল্পের গুণীজন স্মরণে ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যত’ শিরোনামে অনুষ্ঠান। যার শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার (১৩ জুন)। এ দিন নাট্যকার মুনীর চৌধুরী ও যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাসকে স্মরণ করা হয়।

শেষ দিনের স্মরণ আলোচনা হয় নাট্যকার মুনীর চৌধুরী এবং অমলেন্দু বিশ্বাসকে নিয়ে। প্রথম পর্যায়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন সৈয়দ মুহাম্মদ জুবায়ের এবং সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আব্দুস সেলিম। আলোচক হিসেবে ছিলেন ড. আহমেদুল কবির ইয়াং এবং সাইদুর রহমান লিপন।  

আলোচনায় নাট্যকার মুনীর চৌধুরী স্মরণে বক্তারা বলেন, ইতিহাসের জন্য নাটক নয়, নাটকের জন্যই ইতিহাস। তাইতো ইতিহাসকে উপজীব্য করে তিনি নাটক লিখেছেন ঠিকই কিন্তু ইতিহাসকে পুঙ্খানুপুঙ্খ রাখার প্রয়োজন বোধ করেননি। অন্যদিকে, জীবনদর্শনে অনেক পরিবর্তন আসলেও বাংলা ভাষার বিষয়ে সবসমই ছিলেন অনড়। সেটা হোক বিদেশি শক্তিদের হাত থেকে রক্ষায় অথবা বিশুদ্ধতা রক্ষায় কিংবা ভাষাকে সহজরুপে ব্যবহারের পন্থা আবিষ্কারে।  

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাস স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তাপস সরকার। আলোচক হিসেবে ছিলেন জ্যোৎস্না বিশ্বাস এবং গোলাম সারওয়ার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লাকি ইনাম।

পাকিস্তান আমলে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অমলেন্দু বিশ্বাসের ভূমিকা তুলে ধরেন বক্তারা। সেসময় আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছিল।  

এক সময় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রায় অভিনয় ও যাত্রা দল পরিচালনা ও যাত্রাশিল্প বিকাশে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও তুলে ধরেন আলোচকরা । পরে অমলেন্দু বিশ্বাস স্মরণে পরিবেশিত হয় যাত্রা: মিলন কান্তি দে’র অংশবিশেষ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।