দেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ভালো নেই।
তাতে দেখা যায়, ক্রাচে ভর দিয়ে হেঁটে আসছেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, পা’টা আবারও মচকালো। এর আগেও তার পা মচকে গিয়েছিল হয়তো।
জনপ্রিয় গায়িকার এই পোস্ট দেখে ভক্তরা সামিনা চৌধুরীকে শুভকামনা ও সুস্থতা কামনা করছেন।
সামিনা চৌধুরীর বেড়ে ওঠা ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় সামিনা চৌধুরীর প্রথম অডিও অ্যালবাম ‘শৈশবের দিনগুলো’। এটির গানের সুর ও সংগীত পরিচালনায় ছিলেন নকীব খান। এরপর থেকে বাবার পথ ধরেই হেঁটে চলেছেন তিনি।
আধুনিক গানের তালিকায় কাওসার আহমেদ চৌধুরীর রচনায় লাকী আখন্দের সুরে ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে’ সামিনা চৌধুরীকে কালজয়ী একটি গান। এছাড়া ‘ওই ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায়’, ‘ফুল ফোটে ফুল ঝরে’, ‘আমার মাঝে নেই এখন আমি’, ‘এই জাদুটা সত্যি হয়ে যেত’র মতো অসংখ্য গান গেয়ে শ্রোতাদের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তিনি।
আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীতশিল্পী হিসেবে সামিনার জন্ম হয়েছিল ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’সিনেমার গানের মাধ্যমে। সেই থেকে সিনেমার গানে নিয়মিত থেকেছেন তিনি। সামিনার জনপ্রিয় গানের মধ্যে আরো রয়েছে ‘আমার বুকের মধ্যেখানে’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’, ‘হও যদি ঐ নীল আকাশ’ ইত্যাদি।
বহু সিনেমার গান কণ্ঠ দিয়েছেন সামিনা চৌধুরী। এরমধ্যে ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘খোঁজ দ্য সার্চ’, ‘টাকার চেয়ে প্রেম বড়’, ‘মায়ের চোখ’, ‘বাপ বড় না শ্বশুর বড়’, ‘মন যেখানে হৃদয় সেখানে’, ‘তুমি আমার স্বামী’, ‘জন্ম তোমার জন্য’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘তোমাকেই খুঁজছি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’উল্লেখযোগ্য।
সিনেমা ও আধুনিক গানের পাশাপাশি রবীন্দ্রসংগীতেও সামিনা চৌধুরী মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। ২০০৬ সালে ‘রানীকুঠির বাকী ইতিহাস’ সিনেমায় ‘আমার মাঝে নেই এখন আমি’ গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকার পুরস্কার লাভ করেন সামিনা চৌধুরী। এছাড়া তিনি একবার বাচসাস পুরস্কার এবং দুইবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৪
এএটি