বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অর্থ লেনদেন হয় বলে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। চলতি মাসের শুরুতে শিল্পী সমিতি সভাপতি পদ থেকে অনেকটা দুঃখ ভরা মন নিয়ে বিদায় নেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।
এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন মুভি লর্ড খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে মিশা সওদাগর-ডিপজল প্যানেলের পক্ষ থেকে এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে থেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন তারা। এরপরেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বিষয়টি নিয়েও মুখ খুলেন ডিপজল।
তার ভাষ্য, টাকা দিয়ে ভোট কেনা বন্ধ করা উচিৎ। যারাই এই কাজ করেছে তাদের উচিৎ এটা বন্ধ করা। আমাদের মানুষ অস্বচ্ছল থাকতে পারে, টাকা চাইতে পারে কিন্তু এভাবে না। কিছু টাকায় বিক্রি যারা হন, তারাও এই টাকা কয়দিন খাবেন? তারপর কী করবেন? আমার কথা টাকার দিকে না তাকিয়ে দেখেন সমিতির কিসে ভালো হবে। দেখেন আমার কথা আর জবান মিল আছে কি-না? অবশ্যই আমার জবান মিল আছে।
এই অভিনেতা আরও বলেন, নির্বাচন হবে, জয় পরাজয় আছে। তবে এবার ভালো করার জন্য আসছি, নেওয়ার জন্য আসিনি। জীবনভর এখানে দিয়ে এসেছি, এবারও যা লাগে দেব কিন্তু ভালো কিছু আশা করে।
সিনেমাপাড়ায় নির্বাচন না হওয়া কিংবা বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা যায়! বিষয়টি নিয়ে ডিপজল বলেন, যদি কোর্ট বন্ধ করে সেখানে আমি বলার কেউ না। কিন্তু কেন বন্ধ করবে? মামলা হবে, মামলা হলে উনারা (বিপরীত পরিষদ) এসে চেয়ারে বসবে? এত সহজ না! বসছে তো দুই বছর ফাও, মামলা চলমান সময়েও উনি (নিপুণ) সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসছে, এটা অবৈধ। কীভাবে বসে? উনি কী নির্বাচিত? সেই মামলা এখনও চলমান। যদি লজ্জা থাকত এটা করত না। মেয়েটা যাই বলেছে উল্টো পেয়েছি, আমি ভালো কিছু পাইনি, আশাও করি না। দোয়া করি সে ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক।
নতুন সিনেমার কাজের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নিয়মিত সিনেমা প্রযোজনা করি। নির্বাচনের আরও ছয়-সাতটি সিনেমার কাজ শুরু করব। যেগুলো বিগ বাজেটের সিনেমা হবে, ভিন্ন দেশ থেকে অভিনয়শিল্পীরাও আসবে। নতুনত্ব কিছু চমক দেখাব।
আসছে ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু, সদস্য এ জে রানা ও আরেক সদস্য বি এইচ নিশান।
মনোনয়ন বিক্রি শুরু হয় শনিবার (৩০ মার্চ) চলে রোববার (৩১ মার্চ) বিকেল চারটা পর্যন্ত। মনোনয়ন দাখিল করা যাবে ২ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য ১০০০টাকা। জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ হাজার, সহ-সভাপতি পদে ২০ হাজার, সম্পাদকীয় পদের জন্য ১৫ হাজার, কার্যনির্বাহী পদের জন্য সাত হাজার এবং সমপরিমান টাকা আপিল ফি প্রতিটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
এনএটি