‘আলো আসবেই’ শিরোনামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিয়ে দেশজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে প্রায় ১৬০ জন আওয়ামীপন্থী অভিনয়শিল্পী, নির্মাতার একজোট হয়ে নানান কথপকথন উঠে এসেছে ওই গ্রুপে।
এই গ্রুপে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম পানি ঢালার’ পরামর্শও দিয়েছিলেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।
গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের আলাপচারিতার অংশ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অরুণা বিশ্বাসের শাস্তি দাবি করেছেন সহশিল্পী থেকে শুরু করে ভক্তরা। তবে জানা গেল, গোপনে দেশ ছেড়ে কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন। শেখ হাসিনার সরকার পতনের দুই-তিন দিনপরই কানাডা চলে যান তিনি।
গেল আট আগস্ট দেশ ছাড়ার সময় অরুণা বিশ্বাস সামাজিকমাধ্যমে দেশ ছাড়ার আভাস দেন। সেদিন ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘প্রিয় জন্মভূমি আমার, ভালো থেকো বাংলাদেশ। ’
অরুণা বিশ্বাসের ঘনিষ্টজন সূত্রে জানা গেছে, অরুণা বিশ্বাস বর্তমানে কানাডাতে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই সুযোগ বুঝে আগস্টের ৬-৯ তারিখের মধ্যে দেশত্যাগ করেছেন। আগে থেকেই সেখানে তার ছেলে থাকেন।
এর আগে গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রোফাইল ‘লাল’ করায় এক সংগীতশিল্পীকে নিয়ে অরুণা বিশ্বাস লেখেন, ‘বয়স যদি কম থাকত পিটাইতে পিটাইতে বাবা ডাক শিখাইতাম। ’
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যাতে আওয়ামীপন্থী শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন।
এই গ্রুপে ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪
এনএটি