একাধারে গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালক প্রিন্স মাহমুদ। অসাধারণ সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে দেশীয় ব্যান্ড সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে আসছেন তিনি।
মূলত অডিও গানের মাধ্যমেই নিজেকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তবে সিনেমায় যে অল্পবিস্তর কাজ করেছেন সেখানেও হয়েছেন দারুণ সফল। সম্প্রতি সময়ে ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’, ‘জংলি’র মতো সিনেমায় সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন।
তবে আর সিনেমার গান করতে চান না প্রিন্স মাহমুদ! কেন তিনি সিনেমার গান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন সে কথাও জানিয়েছেন সামাজিকমাধ্যমের এক পোস্টে।
সংগীতের গুণী তারকা তার পোস্টে লেখেন, অনেকগুলি সিনেমার কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি যা অনেকেই ভাবতে পারেন না। আমি যাকে পছন্দ করি এমন, এই সময়ের সবচেয়ে বড় এবং সম্মানিত একজন যাকে কেউ ফেরায় না, একটা ফোন পাওয়া তো দূর, তার কাছে যাওয়ার জন্য বসে থাকে। কিন্তু আমি তার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। কারণ, সিনেমায় আসলে আমার নতুন কিছু দেওয়ার নাই।
সিনেমার গান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রিন্স মাহমুদ বলেন, যে যাই বলুন, সিনেমার গান আসলে নায়ক, পরিচালকের গান হয়, আমার গান হয় না। অকারণ ক্রেডিট নেওয়ার কোনও মানে হয় না। পুরনো দিনের সুরকারদের জন্য হয়তো ঠিক ছিল কিন্তু এখন নয়। আমি কেবল অডিওর গানে থাকব।
নিজের কালজয়ী কিছু গানের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেমসের ‘মা’, ‘বাবা’, ‘বাংলাদেশ (আমার সোনার বাংলা)’, আইয়ুব বাচ্চুর ‘এত কষ্ট কেন ভাসলবাসায়’, মাইলসের ‘আজ জন্মদিন তোমার’, খালিদের ‘যদি হিমালয় হয়ে’, মাহাদির ‘তুমি বরুনা হলে’, রুমির ‘মাটি হব মাটি কেন কর কান্না কাটি’, তাহসানের ‘আমার ছিপ নৌকোয় এসো’, তপু-ন্যান্সির ‘ভুবন ডাঙার হাসি’, তানজির তুহিনের ‘আলো’, ‘অনাগত’, এলিটার ‘কবি’ বা মিনারের ‘একাকিত্বের কোনও মানে নেই’র মত আমার গান হবে।
এই স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে তিনি আরও লেখেন, অডিওর গানই আমাকে প্রিন্স মাহমুদ বানিয়েছে, এমন জায়গায় এনেছে। এ কথা ভুলি কী করে। অডিওর গান যদি না চলে তাহলে অনেক কিছুই নষ্ট হবে। আমাদেরকে সেই গান বানাতে হবে যে গান একটা লিরিক্স ভিডিওতে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। একটু কম চলুক বা আস্তে আস্তে পৌঁছাক তবুও করে যেতে হবে।
প্রিন্স মাহমুদ আরও লেখেন, কোনো কিছু চলছে দেখে কনফিউজড হওয়া যাবে না। নিজের উপর বিশ্বাস থাকতে এবং রাখতে হবে। নিজের ভালো লাগার গান করতে হবে। অর্ডারি কাজ চাইলেই করতে পারি কিন্তু এখন আত্মা যেটা চায় সেটা করতে হবে।
এনএটি