মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে আয়োজন করা হতো বাংলাদেশ বিজয় উৎসব। এবার বড় পরিসরে নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হলো এ উৎসব।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, '১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাই এখানে বাংলাদেশ বিজয় উৎসব উদ্বোধন করতে পারা আমার জন্য গর্বের। যেখান থেকে ৪৪ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে কাজ করেছিলাম, বাংলাদেশের প্রতি সেখানকার জনগণের ভালোবাসার এখনও অম্লান রয়েছে। '
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্তরে এপারের মতো ওপারের মানুষদের জন্যও সমান শ্রদ্ধা। এই আয়োজনকে বড় পরিসরে করার ব্যাপারে সহযোগিতা করে সেই বার্তাই দিলেন তিনি। '
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার জকি আহাদ। তার কথায়, 'আগে শুধু আমাদের দূতাবাস আঙিনায় হতো এ উৎসব। এবারই প্রথম আমরা বাইরে বেরিয় এতো বড় পরিসরে এটি করতে পারছি। ' এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এদিন দেশাত্মবোধক গান গেয়ে শোনান নজরুলসংগীত শিল্পী সুজিত মোস্তফা, নাসিমা শাহীন, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অনিমা রায়, আধুনিক গানের শিল্পী মৌটুসী পার্থ ও বাংলাদেশের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ছিলো স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানের তালে নাচ।
মন্চের অন্য পাশে ছিলো ঢাকাই জামদানি, রাজশাহীর সিল্ক, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, বুটিক, হস্তশিল্প প্রদর্শনী। দর্শনার্থীরা বিপুল উৎসাহ নিয়ে এসব সামগ্রী ঘুরে ঘুরে দেখেছেন, কিনেছেন। '
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেবেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী তিমির নন্দী, লোকগানের শিল্পী শফি মন্ডল, নজরুলসংগীত শিল্পী সুজিত মোস্তফা, আধুনিক গানের শিল্পী মৌটুসী পার্থ ও সুপর্ণা ইসলাম এবং রেনেসাঁ ব্যান্ড। গানের আগে থাকবে আলোচনা।
কলকাতা সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৫/আপডেট: ০০১২, ডিসেম্বর ১৬
জেএইচ
** ‘মমতার অন্তরের একদিকে পশ্চিমবঙ্গ অন্যদিকে বাংলাদেশ’