অকালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠখ্যাত শিল্পী খেয়ালি কর্মকার। গতকাল শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
২০১০ সালে ‘চ্যানেল আই-সেরাকণ্ঠ’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে পা রেখেছিলেন খেয়ালি। ওই আয়োজনে দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছিলেন তিনি। এরপর একক অ্যালবাম না করলেও তিনি গেয়েছেন একাধিক মিশ্র অ্যালবামে। লিমকো কুইন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএর ছাত্রী ছিলেন খেয়ালি।
তার পরিবার জানায়, ১৬ ডিসেম্বর রাতে মালিবাগের চৌধুরীপাড়ার বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খেয়ালি। এ সময় তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো। এরপর তাকে দ্রুত হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে খেয়ালির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অন্য কোথাও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা চললেও ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে তার আকিস্মিক মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানান, খেয়ালির মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। শুক্রবারই ঢাকার রাজারবাগ কালীবাড়ি শ্মশানঘাটে খেয়ালির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের মেয়ে খেয়ালি কর্মকার। চার বছর বয়স থেকে গানের দীক্ষা শুরু হয়েছিলো। তার গানের ওস্তাদ প্রয়াত বাবা গৌরাঙ্গ কর্মকার। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি আগ্রহের কারণে ছায়ানটেও ভর্তি হন খেয়ালি।
খেয়ালির অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনে। বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল খেয়ালি সম্পর্কে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কে জানতো এই সুরের পাখি/এভাবে আচমকা উড়াল দিবে!/যদি জানতাম তবে সুরের শিকল/ পরিয়ে দিতাম পাখিটির পায়। ’ তিনি আরও লেখেন, ‘অনেক কাছ থেকে দেখা মেয়েটিকে মনে হচ্ছে, এই তো আমার কাছে কাছেই আছে, অথচ অনেক দূরে, ফিরবে না আর কোনই খেয়ালে - খেয়ালি। আমি মানতে পারছিনা ওর এমন চলে যাওয়া, অনেক দিন থাকার কথা ছিলো এই ভুবনে। ওর মনে অনেক কষ্ট ছিলো বুঝি। গানের পাখিটির আর গান গাওয়া হলো না, কেনো?’
** খেয়ালির গাওয়া গান :
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫
এসও