একে একে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রই যোগ হয়ে গেলো টিভি অভিনেত্রী নওশাবার ক্যারিয়ারে। অমিত আশরাফের ‘উধাও’ তো মুক্তি পেয়েছে ২০১৩ সালে।
ওদিকে ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নোঙর’-এর কাজও শেষ। খিজির হায়াত খানের ‘প্রতিরুদ্ধ’র দৃশ্যধারণ হয়েছে বেশ কিছুদিন। এন. রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’, দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ফাখরুল আরেফীনের ‘ভুবনমাঝি’, প্রসূন রহমানের ‘ঢাকা ড্রিম’- এসব ছবিতেও নওশাবার অভিনয় করার কথা পাকা হয়ে রয়েছে। শিডিউলও ঠিকঠাক।
মজার বিষয় হচ্ছে, এতোদিন ‘ছবির মহরত’ বলে কোনো আনুষ্ঠানিকতার মুখোমুখি হননি নওশাবা। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ তাকে প্রথমবারের মতো এ অভিজ্ঞতা দিচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ছবিটির মহরত ঘোষণা হবে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে।
তবে নতুন এই অভিজ্ঞতার মুখে পড়ে নওশাবা রোমাঞ্চিত হওয়ার বদলে, আছেন ভীষণ ভয়ে! বাংলানিউজকে বলছিলেন, ‘আমার খুবই ভয় লাগছে। টেনশনে মনে হচ্ছে অজ্ঞান হয়ে যাবো! আমি তো কথাবার্তা এমনিতেই তেমন বলি না। ’ তার ওপর এতো লোকজন! মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে দু’কথা বলতে হবে। এসবই নওশাবার ভয়ের কারণ।
‘ঢাকা অ্যাটাক’-এ নওশাবা ছাড়াও রয়েছেন আরিফিন শুভ ও মাহিয়া মাহি। নওশাবা বলছিলেন, ‘আমি তো গ্ল্যামার দিয়ে তাদের সঙ্গে পারবো না। আমি যেটা জানি, সে অভিনয় দিয়ে যতোখানি সম্ভব উৎরে যাওয়ার চেষ্টা করবো। ’
নওশাবা এখন ডুবে আছেন ‘চন্দ্রাবতীর কথা’র ভাবনায়। ১ জানুয়ারি থেকে কিশোরগঞ্জে ছবিটির দৃশ্যধারণে অংশ নেবেন তিনি। থাকবেন ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেখান থেকে এসে ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এ যোগ দেবেন। এরপর সঙ্গী হবেন ‘ভুবনমাঝি’র। মাঝে ‘ঢাকা ড্রিম’-এর কাজও করবেন। তিনি বলছিলেন, ‘এই ছবিগুলো আমার অনেক কষ্টের ফল। অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে এমন কিছু চলচ্চিত্র হাতে পেয়েছি। প্রত্যেকটা ছবিতে আমার চরিত্র একেবারেই আলাদা। অভিনয় করার প্রচুর জায়গা আছে। ’
এদিকে নওশাবা অভিনীত ‘আলগা নোঙর’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো চলতি মাসেই। কিন্তু ছবিটির পরিচালক ওয়াহিদ তারেক জানাচ্ছেন, ‘একটু পেছানো হয়েছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে এখন। ’ ছবিটির সম্পাদনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলছে আবহ সংগীতের কাজ। পুরো ছবির আবহসংগীত করছেন লাবিক কামাল গৌরব। ছবিতে তিনটি গান থাকবে। তবে সেগুলোর রেকর্ডিং শেষ হয়নি এখনও।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ