পৃথিবীর চতুর্থ সম্মানজনক প্রতিযোগিতামূলক চলচ্চিত্র উৎসব হলো লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব। কান চলচ্চিত্র উৎসব, ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব ও বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের পরেই চলচ্চিত্র দুনিয়ায় উচ্চারিত হয় এই আয়োজন।
আশার কথা হলো, আগামী তিন বছরের জন্য ফোকাস কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশসহ আটটি দেশকে বেছে নিয়েছে লোকার্নো। এর মধ্যে প্রডিউচার্স ল্যাবে ফোকাস করা হবে চারটি দেশকে। এখানেও প্রাধান্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বছর ফোকাস কান্ট্রির অংশ হিসেবে উৎসব চলাকালীন দেখানো হবে বাংলাদেশের কিছু বাছাই করা ছবি।
বাংলাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বুধবার (১৩ জানুয়ারি) তার ফেসবুক পেজে এ সুখবর ভাগাভাগি করেছেন। এটা বাংলাদেশি ছবির ভবিষ্যৎ নির্মাতাদের জন্য সুখবর হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, বেশকিছুদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে লোকার্নো বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, লোকার্নোর প্রজেক্ট মার্কেট ও প্রডিউসারস ল্যাবের নাম ‘ওপেন ডোরস’। এগুলোর কাজ হচ্ছে আগামীর গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলো চিহ্নিত করে প্রযোজকদের সামনে পেশ করা, দিকনির্দেশনা দেওয়া এবং ছবি বানাতে নানারকম প্লাটফর্ম ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসা। পাশাপাশি এখানে সেরা প্রজেক্টকে অর্ধলক্ষ সুইস ফ্রাংক পুরস্কার দেওয়া হয়।
ওপেন ডোর বিষয়ে যাবতীয় তথ্য জানাতে এবং কীভাবে ভালো প্রজেক্ট তৈরি করা যায়, বর্তমান বিশ্ব চলচ্চিত্রের হালচাল এবং আরও নানা বিষয়ে ওপেন টক দিতে আসছেন ওপেন ডোরস কনসালট্যান্ট পাওলো বার্তোলিন।
ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সহযোগিতায় জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আগামী ১৬ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হবে এটি। এখানে অংশ নিতে হলে সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্তসহ আগ্রহের কথা জানিয়ে [email protected] এ ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
জেএইচ