বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। কৃত্রিম উপায়ে (লাইফ সাপোর্ট) বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে তাকে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, দু’দিন আগে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিচ্ছিলেন খোকন। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণের জন্য নয়। সব মিলিয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন তিনি। তার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন স্ত্রী জয় ইসলাম।
দীর্ঘদিন ধরে মুখগহ্বরে মটর নিউরো ডিজিসে (এএলএস) ভুগছেন শহীদুল ইসলাম খোকন। ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় নেওয়া হয়। সেখানকার বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই বলে জানান। অগত্যা তিনি ফিরে আসেন দেশে।
চিকিৎসক রাশিমুল হক রিমনের সূত্র দিয়ে জয় আগেই বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, অক্সিজেনের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে খোকনকে। হার্ট অ্যাটাক ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তার অবস্থা এখন বেশ গুরুতর। রক্তচাপ কমে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। জয় আরও জানান, এই অবস্থায় বেঁচে থাকা বেশ যন্ত্রণার। এর থেকে মুক্তি পাওয়াই বরং উত্তম।
‘ঘাতক’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘লাল সবুজ’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘ভণ্ড’সহ দুর্দান্ত সব চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন খোকন। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রক্তের বন্দি’। এরপর তিনি রুবেলকে নিয়ে একে একে নির্মাণ করেন ‘লড়াকু’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘বিপ্লব’, ‘অকর্মা’, ‘সতর্ক শয়তান’, ‘বিষদাঁত’, ‘টপ রংবাজ’, উত্থান-পতন’ প্রভৃতি ব্যবসাসফল সিনেমা।
* ‘উপরওয়ালা তাকে মুক্তি দিক’
* লাইফ সাপোর্টে শহীদুল ইসলাম খোকন
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫
এসও/জেএইচ