ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

এফটিপিও’র নতুন সাত দফা দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
এফটিপিও’র নতুন সাত দফা দাবি

ছোটপর্দার নানান প্রতিকূলতা, অনিশ্চয়তা, বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন মোকাবেলায় নতুন সাত দফা দাবি জানিয়েছে টিভি সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের বিভিন্ন সংগঠনের জোট সংগঠন ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)।

ছোটপর্দার নানান প্রতিকূলতা, অনিশ্চয়তা, বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন মোকাবেলায় নতুন সাত দফা দাবি জানিয়েছে টিভি সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের বিভিন্ন সংগঠনের জোট সংগঠন ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এগুলো উত্থাপন করে সংগঠনটি।

দাবিগুলো হলো- ১. বিজ্ঞাপন প্রচারে গ্রহণযোগ্য মানদন্ড অনুসরণ করতে হবে। ২. নাটকের বাজেট যৌক্তিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে। ৩. কপিরাইট প্রথা বহাল করতে হবে। ৪) যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রিভিউ কমিটি থাকতে হবে। ৫. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, নির্ভুল, যথাযথ টিআরপি ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৬. ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেল চালু করতে হবে এবং তাদের চ্যানেল ডাউনলিংক ফি’র সঙ্গে আমাদের চ্যানেল ডাউনলিংকের যে অসম ফি আছে তা অপসারণ করতে হবে। ৭. এফটিপিওকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। কোনো নাটক বা অনুষ্ঠান নির্মাণে অবশ্যই শিল্পী ও কলাকুশলীদেরকে এফটিপিওর  তালিকাভুক্ত সদস্য হতে হবে।

এফটিপিও’র আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ বলেছেন, ‘আমরা বাংলার ভাষার জন্য বায়ান্নতে রক্ত দিয়েছি। এখন আমাদের শিশু-কিশোররা হিন্দিতে কথা বলছে। ভারতীয় চ্যানেল অবাধে বাংলাদেশে সম্প্রচারের সুযোগ রাখাই এই নেতিবাচক চিত্রের জন্য দায়ী। ’

যোগ করে আহ্বায়ক বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালককে প্রধান করে এফটিপিওর সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছেন। উক্ত কমিটিতে আমরা নতুন দাবিগুলো উত্থাপন করতে চাই। ’

‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই’ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে গত ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত টেলিভিশন শিল্পী ও কলাকুশলী সমাবেশে পাঁচ দফা দাবি জানায় এফটিপিও। এর মধ্যে ছিলো- ১. দেশের বেসরকারি চ্যানেলে বাংলায় ডাবকৃত বিদেশি সিরিয়াল/অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। ২. টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ, ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট/এজেন্সির হস্তক্ষেপ ব্যতীত চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। ৩. টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এ.আই.টি’র নূন্যতম ও যৌক্তিক হার পুনঃনির্ধারণ করতে হবে।

৪. দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে কাজ করতে হলে সরকারের অনুমতি এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনসমূহে নিবন্ধিত হতে হবে। অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রয়োজনে সরঞ্জামাদি (ক্যামেরা, লাইট, ও অন্যান্য) বিদেশ থেকে আনার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। ৫. ডাউনলিংক ফীড/চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে।

সমাবেশে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে ডাবিং সিরিয়াল বন্ধ করার জন্য সময় বেঁধে দেয় এফটিপিও। এ ছাড়া সরকারের কাছে ১ জানুয়ারির মধ্যে তাদের সব দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানায়। এরই মধ্যে কয়েকটি চ্যানেল তাদের ডাবিং সিরিয়াল বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া সরকার ডাউনলিংক চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করেছে।

এফটিপিও’র সদস্য সচিব গাজী রাকায়েত বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য দর্শকদের মানসম্মত অনুষ্ঠান উপহার দেওয়া এবং লাগামহীনভাবে বিজ্ঞাপনের অত্যাচার থেকে দর্শকদের রক্ষা করা। ’

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।