‘বাংলাদেশে এলে মনে হয় আমার নিজেরই আরেকটি দেশ মনে হয়। এখানকার অনেক শিল্পী আমার সান্নিধ্যে এসেছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার শংকরে ছায়ানট মিলনায়তনে শুরুতে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলন করেন পন্ডিত বিরজু মহারাজ। এখানে তাকে সম্মাননা পদক তুলে দেন নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান। শাল পরিয়ে দিয়েছেন নৃত্যশিল্পী মীনু হক। অতিথিদের মধ্যে তাদের পাশাপাশি বক্তব্য রেখেছেন নৃত্যশিল্পী আনিসুল ইসলাম হিরু। এদিন বিদূষী শ্বাশতী সেনকে জীনাৎ জাহান স্মৃতি সম্মাননা শাল পরিয়ে দেওয়া হয়।
সম্মাননা প্রদানের পর ছিলো ‘গুরু শিষ্য পরম্পরা’ শীর্ষক নৃত্যানুষ্ঠান। আয়োজক কত্থক নৃত্য সম্প্রদায় ছাড়াও নৃত্য পরিবেশন করেছে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস, নৃত্যাশ্রম, পুষ্পাঞ্জলি, রেওয়াজ পারফর্মিং আর্টস, আঙ্গিকাম, মৌলভীবাজারের নূপুর নিক্বণ এবং রংপুরের নৃত্যশিল্পীরা।
উৎসবের আয়োজক কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের অর্ধিকর্তা নৃত্যগুরু সাজু আহমেদের প্রশংসা করে পদ্মবিভূষণ খেতাবপ্রাপ্ত বিরজু মহারাজ বলেন, ‘কত্থক নৃত্যের প্রতি ওর ত্যাগ আর নিষ্ঠাকে সাধুবাদ জানাই। এ ধরনের আয়োজনের প্রতি সরকারি সুদৃষ্টি থাকলে ওর মতো নৃত্যশিল্পীরা আরও উৎসাহিত হবে। ’
বড়দিনে সকাল সাড়ে দশটায় একই স্থানে বিরজু মহারাজকে নিয়ে সেমিনারে ‘পন্ডিত বিরজু মহারাজ : সংস্কৃতির শিকড়ে গতিময় সঞ্চরণ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করবেন শেখ মেহেদী হাসান।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পন্ডিত বিরজু মহারাজ ও তার ছাত্রী বিদূষী শ্বাশতী সেন যুগলবন্দি পরিবেশন করবেন ছায়ানটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
জেএইচ