বুধবার সকালে সালমানকে অবৈধ অস্ত্র রাখা বিষয়ক মামলাটি থেকে অব্যাহতি দেন যোধপুর জেলার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। রায় ঘোষণার সময় তিনি হাজির ছিলেন ছোট বোন আলভিরা খান অগ্নিহোত্রী ও আইনজীবী হাস্তিমাল সারাস্বতকে নিয়ে।
সল্লুর বাবা সেলিম খান টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘খবরটি শুনে প্রত্যেকে সত্যিই খুব খুশি। আমরা খুশি। এটা উদযাপনের বিষয় নয়। তবে আমরা স্বস্তি পেলাম। সালমানকে সমর্থন জানানোর জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ’
১৯৯৮ সালের অক্টোবরে ভারতের যোধপুরে সালমান খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন মামলা হয়েছিলো। অভিযোগ ওঠে, সেই সময় যোধপুরের কানকানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির চিত্রায়ন চলাকালে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সের ০.২২ রাইফেল ও ০.৩২ রিভলভার দিয়ে দুটি মায়াহরিণ শিকার করেন তিনি। এ কারণে ভারতীয় অস্ত্র আইনের ৩/২৫ ও ৩/২৭ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। তবে কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় আদালতের রায়ে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন সল্লু।
তবে সালমানের খালাস পাওয়ার ঘটনায় টুইটারে অনেকে উপহাস করেছেন। কিন্তু আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অস্ত্র আইনের ভুল ধারায় সালমানের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কারণেই তিনি খালাস পেয়েছেন। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত বলেছেন, সল্লুর কাছে বৈধ লাইসেন্সই ছিলো। কিন্তু সেটা প্রতি বছর নবায়ন করতে হয়। এ কারণে তার বিরুদ্ধে সেকশন ২১ ধারায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতো।
১০২ পাতার রায়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দালপাত সিং রাজপুরোহিত বেনিফিট অব ডাউট দিয়েছেন সল্লুকে। রায় ঘোষণার সময় তিনি বলেন, ‘লাইসেন্সটির মেয়াদ ছিলো তিন বছর। ১৯৯৯ সালের ৮ আগস্ট পর্যন্ত এটি বৈধ ছিলো। সুতরাং সালমান খানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সময়ও অস্ত্র দুটিকে বৈধ বলতে হবে। তবে ১৯৯৮ সালে এটি পরবর্তী এক বছরের জন্য নবায়ন করা হয়নি, ভুল শুধু এখানেই। ’
সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবিতে সালমানের সহশিল্পী সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও টাবুকে এ মামলায় আগামী ২৫ জানুয়ারি আদালতে এসে নিজ নিজ বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।
সালমানের বিরুদ্ধে চারটি মামলার মধ্যে বিরল প্রজাতির হরিণ শিকারের দুটি মামলা থেকে উচ্চআদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন তিনি। এবার তৃতীয়টি শেষ ধাপে এসে পৌঁছালো। এর আগে বিপন্ন প্রজাতির চিঙ্কারা শিকারের মামলায় ২০০৬ সালে একটি আদালত তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিলেও পরের বছর রাজস্থান উচ্চ আদালত তা বাতিল করে ২০১৬ সালে খারিজ করে দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজস্থান সরকার।
এ ছাড়া ২০০২ সালে মুম্বাইয়ে গাড়িচাপা দিয়ে ঘুমন্ত পথচারিকে মেরে ফেলা ও কয়েকজনকে আহত করার ঘটনায় ২০১৫ সালে আদালতের রায়ে সালমান খালাস পেলেও মহারাষ্ট্র সরকার এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
জেএইচ