এ উপলক্ষে বাদ মাগরিব মরহুমের রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীর বাসভবনে (বাড়ি নং: ৩২, রোড নং: ৩, ব্লক: ই) দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এ আয়োজনে অংশ নিয়ে সকলকে মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করার অনুরোধ জানিয়েছেন কুটি মনসুরের ছেলে খান মোহাম্মদ মজনু ও সেজো জামাতা সংগীত শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ দোলন।
গত মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বাংলা গানের এই অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
বাংলাদেশের আধুনিক ও লোক গানের পরিচিত নাম কুটি মনসুর তার দীর্ঘ ৬০ বছরের সংগীতজীবনে পল্লীগীতি, আধুনিক, জারি-সারি, পালাগান, পুঁথিপাঠ, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মারফতি, আধ্যাত্মিক, দেহতত্ত্ব, হামদ–নাত, ইসলামী বিষয়ে প্রায় আট হাজার গান লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘আমি কি তোর আপন ছিলাম নারে জরিনা’, ‘আইলাম আর গেলাম পাইলাম আর খাইলাম, ভবে কিছুই বুঝলাম না’, ‘কে বলে মানুষ মরে’, আমার তালাশ নিক বা না নিক সই আমি তারে তালাশ করি’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান।
শেষ বয়সে কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি। যার ভেতরে রয়েছে- ‘আমার বঙ্গবন্ধু, আমার ৭১’। যেটি এবারের বইমেলায় প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
সারাজীবন দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা কুটি মনসুরের কথা ও সুরে গান গেয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কণ্ঠশিল্পীরা। তাদের মধ্যে আছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, দিলরুবা খান, নীনা হামিদ, রথীন্দ্রনাথ রায়, ফকির আলমগীর, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ফিরোজ সাঁই, কিরণ চন্দ্র রায়, মুজিব পরদেশী, মমতাজ, ডলি সায়ন্তনী, মীনা বড়ুয়া, এম এ মতিন, জানে আলম, রবি চৌধুরী, মনির খান, শুভ্র দেব প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৭
এএসআর