গেল বিশ্ব বাবা দিবসে ইভেন ম্যানেজমেন্ট পার্পেল বার্ডের একটি বিজ্ঞাপনের অভিনয় দেখে জায়ানকে পছন্দ করেন নাট্য পরিচালক নাজমুল হুদা ঈমন। এরপর তার পরিচালিত ঈদের নাটক হোমওয়ার্কে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করার সুযোগ করে দেন জায়ানকে।
সম্প্রতি ঢাকার উত্তরা ও নিকুঞ্জে শুটিং হয় নাটকটির। আরটিভিতে কোরবানির ঈদের পরদিন (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫ মিনিটে নাটকটি প্রচারিত হবে। এ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- সাদিয়া ইসলাম মৌ, অ্যালেন শুভ্র, নাদিয়া খানম, দীপা খন্দকার ও সাইদ বাবু।
হোমওয়ার্ক নাটকের পরিচালক নাজমুল হুদা ঈমন বাংলানিউজকে বলেন, হোমওয়ার্ক নাটকে শিশুশিল্পী চরিত্রে ক্যামেরার সামনে অভিষেক হয় জায়ানের। জায়ানের অভিনয়ের ব্যাপারে বলতে গেলে এক কথায় বলতে হবে, অসাধারণ। এত সিনিয়র শিল্পীদের সাথে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করতে গেলে যে কেউই হিমশিম খেতে পারে। এইটা স্বাভাবিক। কিন্তু লাইট ক্যামেরা দেখার পর জায়ান যেন আরও চরিত্রের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। একটা ডায়লগও সে ভুল করেনি, এমনকি ক্যামেরাতে একবারও সে ফলস লুক দেয়নি। যেটা কিনা অবিশ্বাস্য।
নাটকে জায়ানের চরিত্রটি সম্পর্কে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না পরিচালক। তিনি চান এটা দর্শকের জন্য একটা সারপ্রাইজ হিসেবে থাকুক।
নাটকের গল্প সম্পর্কে পরিচালক নাজমুল হুদা ঈমন বলেন, যখন মোবাইল ছিল না, ভিডিও কল ছিল না, তখনও কিন্তু ভালোবাসা ছিল। তখনকার দিনে ভালোবাসা আদান-প্রদানের সবচেয়ে সুবিধাজনক মাধ্যম ছিল চিঠি। ১৯৯৩ সালে ক্লাস টেনে পড়া মঈন তার ক্লাসমেট রুবিকে ভালোবাসার কথা জানাতো হোমওয়ার্কের খাতার ভিতরে দেওয়া চিঠির মাধ্যমে। মোবাইলে রং নম্বরে কল চলে যাওয়ার মতো একদিন এই চিঠি চলে যায় তাদের টিচার শায়লা ম্যাডামের কাছে। ধরা পড়ে যায় মঈন।
তারপর কী হয় জানতে চোখ রাখতে হবে আরটিভিতে ঈদের পরদিন রাত ১১টা ০৫ মিনিটে প্রাণ পটেটো ক্র্যাকার নিবেদিত স্বল্প বিরতির নাটক হোমওয়ার্কে।
নাটকে অভিনয়ের বিভিন্ন বিষয়ে বাংলানিউজের সাথে কথা হয় শিশু শিল্পী জায়ানের। সে বলে, ওখানে যাওয়ার পর সবাই আমাকে আদর করেছে। প্রথম অভিনয় হলেও আমার ভয় লাগেনি। যেভাবে বলেছে সেভাবে করেছি।
তুমি কী হতে চাও জানতে চাইলে জায়ান বলে, নাটক করতে চাই। কিছুক্ষণ পর বলে, না না আমি পুলিশ হতে চাই। এরপর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবার বলে লেখাপড়া করে ডিসি হতে চাই।
সপ্রতিভ এই শিশু শিল্পী জায়ান জহির খানের একমাত্র সন্তান। বাবা জহির খান বাংলালায়নের রিজিওনাল হেড (সাউথ জোন)। জায়ানের মা কানিজ সুলতানা। তিনি এক্সক্লুসিভ কানিজ হেয়ার অ্যান্ড বিউটি পার্লারের মালিক ও শ্রেষ্ঠ জয়িতা।
জায়ানের মা কানিজ সুলতানা বলেন, খুলনা আর্ট স্কুলে আর্ট ও অভিনয় শিখছে জায়ান। কবিতা শেখে ‘এবং আবৃতি’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনে। এছাড়া গানের জন্যও তার শিক্ষক রয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক ও জাতীয় অনুষ্ঠানে জায়ান অংশগ্রহণ করে পুরস্কার পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জায়ানের অভিনয়ের বোঝাপড়াটা খুব ভালো। নামিদামি অভিনেতাদের সাথে এত ভালো অভিনয় করবে ভাবতেও পারিনি।
বাবা জহির খান জানান, জায়ানের অভিনয়, আবৃতি, গান, ছবি আঁকায় খুব আগ্রহ। যে কারণে ওকে সব বিষয় শেখানো হয়। জায়ানকে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৭
এমআরএম/এমজেএফ