দিনে দিনে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছেন ‘সুপারস্টার’ শাকিব। শুধু প্রেক্ষাগৃহে নয়, বোকাবাক্সেও তারই দাপট।
শাকিব খান কেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী? এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। ঈদের মতো বড় আয়োজনে তার ছবি মুক্তি আটকে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু কাজ হয়নি। উতরে গেছেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে শাকিবের ছবির কাটতি বেশি থাকায় প্রযোজক, পরিবেশক ও হল মালিকরা তার দিকেই তাকিয়ে বসে থাকেন। গত এক যুগে এই উচ্চতায় আসতে পারেননি আর কোনো নায়ক, শাকিবের বিকল্প হতে পারেননি কেউ, অন্যদের ব্যর্থতা হলে এটিই শাকিবের সফলতা। তাকে ঈর্ষা করার এও এক কারণ…
অন্যভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত দুটি ঈদে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিলো কলকাতার নায়ক জিতের ছবি। তাতেও এতোটুকু টলেনি শাকিবের সিংহাসন। জিতের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে নাম্বার ওয়ান তকমা ধরে রেখেছেন আলোচিত এই নায়ক।
প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও ঈদুল আজহায় ‘শাকিবীয়’ স্টাইলের ব্যতিক্রম ঘটছে না। মুক্তি পেলো কিং খানের দুটি ছবি। এগুলো হলো— আবদুল মান্নান পরিচালিত ‘রংবাজ’ ও শাহাদৎ হোসেন লিটনের ‘অহংকার’। মজার তথ্য হচ্ছে, দুটি ছবিতেই শাকিবের নায়িকা বুবলী। দু’ বছর আগে এই অবস্থানে ছিলেন অপু বিশ্বাস। এক ঈদে শাকিব-অপু জুটির চারটি ছবি মুক্তিরও রেকর্ড রয়েছে।
এবার শাকিব খালি মাঠে গোল দিচ্ছেন। নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার ‘রংবাজ’ আর ‘অহংকার’-এর সঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে নাটকের অভিনেতা ডিএ তায়েবের ছবি ‘সোনাবন্ধু’। অবশ্য ছবিটির কিছু দর্শক টানতে সক্ষম হবেন নায়িকা পপি ও পরী মনি। কিন্তু শাকিবের তুলনায় সেটি কতোখানি?
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এসও