একমাত্র মেয়ে সায়রাকে নিজের কাছে রাখার অধিকার চেয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করেছেন তিনি। ৩ আগস্ট এই মামলা দায়ের করা হয়।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে বাঁধন বলেছেন, ‘বিচ্ছেদের পর থেকে সায়রা কখনো আমার কাছে কখনো ওর বাবার কাছে থাকতো। সম্প্রতি আমার মেয়েকে তার বাবা কানাডায় পাঠিয়ে দিতে চাইছে। বাঁধা দিতে গেলে সনেট (বাঁধনের প্রাক্তন স্বামী) বলেছেন, প্রয়োজনে জোর করেই তিনি মেয়েকে কানাডায় পাঠাবেন। আমি চাই না আমার একমাত্র সন্তান দেশের বাইরে থাকুক। ওর জন্য আমি অনেক সংগ্রাম করেছি। ওকে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না। এ কারণেই মামলা করেছি। ’
বাঁধন আরও বলেন, ‘আমার মেয়েটার বয়স ছয় বছরও হয়নি। ওকে ভুল বোঝানো হয়েছে যে, বাংলাদেশে ওর ভবিষ্যৎ ভালো হবে না। এখানকার যে স্কুলে সে পড়ে সেই স্কুল ভালো না, সেখানে তাকে নেইলপলিশ পরতে দেওয়া হয়না, কানাডায় সে নেইলপলিশ পরতে পারবে। এখানকার রাস্তায় ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি। এটা কেমন কথা বলেন? এতোটুকু বাচ্চাকে এসব বলতে পারেন তার বাবা? আমি চাই আমার মেয়ে তার জন্মভূমিকে ভালোবেসে বেড়ে উঠুক। ’
বাঁধন জানান, সাত বছরে তার স্বামীর অনেক ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। সবশেষ তিনি বাঁধনের সঙ্গে আবার থাকার অভিনয় করেছেন। অথচ সে সময় তিনি আরেকটি বিয়েও করেন। এতো কিছুর পরও বাঁধন মেয়েকে বাবার কাছে রাখতে রাজি ছিলেন। কিন্তু মেয়েকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। পারিবারিক মামলার রায় পেতে একটু সময় লাগে। আগামী ১৫ অক্টোবর হেয়ারিং হবে। এভাবে সিদ্ধান্ত না এলে বিজ্ঞ আদালত রায় দেবেন। সায়রা বর্তমানে বাঁধনের সঙ্গে আছে।
বাঁধন বলেন, ‘সায়রা আমার মেয়ে, আমি বেঁচে থাকতে ওকে অন্য মহিলার কাছে থাকতে দেবো কেন! আমার চেয়ে ওর ভালো আর কে বেশি বুঝবে? কয়েক বছর ধরে আমিই ওর বাবা, আমিই ওর মা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭
এসও