স্টিফেন ফ্রেয়ার্সের পরিচালনায় ‘ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আবদুল’ ছবিতে দেখা যাবে তাদের জীবনের কিছু অজানা ঘটনা। রানী ভিক্টোরিয়া ও আবদুল করিমের গল্প নিয়ে ২০১০ সালে ‘ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড আবদুল: দ্য ট্রু স্টোরি অব দ্য কুইন ক্লোজেস্ট’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন ভারতীয় লেখিকা শ্রাবণী বসু।
১৮৮৭ সালে সুদর্শন আবদুল করিম যখন প্রথম ইংল্যান্ডে পা রাখেন, তখন তার বয়স ২৪ বছর। সে বছর রানী ভিক্টোরিয়ার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত থেকে যে দু’জন সহকারি নেওয়া হয়েছিলো আবদুল করিম ছিলেন তাদের একজন। কিছুদিনের মধ্যেই রানীর প্রিয়ভাজন হয়ে ওঠেন তিনি। রানী যখন কোথাও ভ্রমণে যেতেন, তখন তার পরিবার এবং রাজপ্রতিনিধিদের আপত্তি সত্ত্বেও আবদুল করিমকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। রানীর সঙ্গে তার এই অপ্রত্যাশিত সুসম্পর্ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজপরিবারের অনেকে। এ নিয়ে অনেক গুঞ্জন ডাল-পালা মেলে।
ভিক্টোরিয়ার পুত্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও বিশেষ লাভ হয়নি। শোনা যায়, রানীর মৃত্যুর পর করিমের সঙ্গে তার প্রেমকাহিনির সমস্ত প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করে দিতে স্থিরচিত্র, চিঠি জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন তার ছেলে। কিন্তু সত্যিকে চাপা দেওয়া তো খুব সহজ কাজ নয়। তাদের সম্পর্কের কথা পরবর্তীকালে জানা যায় আবদুল করিমের একটি ডায়েরি থেকে। ১৯০১ সালে রানী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আবদুল করিমকে। এর পর বাকি জীবন তিনি আগ্রার কাছে একটি জায়গায় নিভৃতে বসবাস করেন, তার জন্য এ জায়গাটির বন্দোবস্ত করে দিয়ে যান স্বয়ং রানী ভিক্টোরিয়া। ১৯০৯ সালে ৪৬ বছর বয়েসে মৃত্যুবরণ করেন আবদুল করিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এসও