গণমাধ্যমের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনার শীর্ষে আছেন এভ্রিল। অনেকেই তাকে নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট করছেন।
নারীবাদী জনপ্রিয় এই লেখিকা লিখেছেন, ‘জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের বাবা গ্রামের গরিব চাষী। ১৬ বছর বয়সে এভ্রিলকে জোর করে বিয়ে দেন। আমার বাবা ধনী, নামী ডাক্তার, মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ছিলেন। কেউ বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এলে আমার বাবা বলে দিতেন, আমার মেয়ে পড়াশোনা করবে, বড় হবে। তারপর বিয়ে করতে চাইলে নিজের পছন্দ মতো বিয়ে করবে। ’
তার মতে, ‘এভ্রিলের লেখাপড়ার সুযোগ ছিলো না। স্বামীর ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে তাকে টিউশনি করতে হয়েছে, কলেজে পড়তে হয়েছে। বারো ক্লাস পর তার আর পড়া হয়নি। আমার বাবা মা আমাকে মুখে তুলে খাইয়ে, পরম আদর যত্নে রেখেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন ডাক্তারি পড়তে। আমি ডাক্তারি পড়েছি। ডাক্তার হয়েছি। ’
তসলিমা আরও লিখেছেন, ‘এভ্রিল ছিলো অসহায়। খাওয়া জোটেনি, টাকা জোটেনি। স্ট্রাগল করেছে বছরের পর বছর। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছে। শেষ পর্যন্ত একটি বাইক কোম্পানির ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছে। ওর আরো বড় হওয়ার স্বপ্ন। আমার অভাব ছিল না। ডাক্তারি করার পাশাপাশি বই লিখেছি, বইগুলো প্রচুর লোকপ্রিয়তা পেয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। নানা পুরস্কার এবং সম্মান পেয়েছি বিভিন্ন দেশ থেকে।
এভ্রিল মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় নিজের সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে। আমি সাতখণ্ড আত্মজীবনী লিখেছি। কোথাও নিজের সম্পর্কে এক বর্ণ মিথ্যা লিখিনি। এভ্রিল আর আমার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। কিন্তু দেশের মানুষ যখন আমাদের গালি দেয়, গালিগুলো সব এক। কোনও মেয়েই যেন না ভাবে তারা আলাদা। সবাইকে প্রকাশ্যে এবং আঁড়ালে একইভাবে ডাকে এবং ডাকবে আমাদের মাথার ওপর বসে থাকা সম্মানিত পুরুষজাতি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৭
এসও