ফারুকী এখন দেশের বাইরে। ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর সফলতার খবর শুনে তিনি শুভকামনা জানিয়েছেন নির্মাতাকে।
ফারুকী লিখেছেন, ‘দুনিয়ার যে প্রান্তেই থাকি, দেশের কোনো ভালো খবর শুনলে মন টগবগ করে। দীপংকর দীপনের ছবির ব্যবসায়িক সাফল্যে ভীষণ খুশি। মেইনস্ট্রিম ম্যাটারিয়াল বানানোর জন্য আমাদের স্মার্ট পরিচালকদের দরকার। না হলে মেইনস্ট্রিম ম্যাটেরিয়ালের নামে শুধু তামিল-তেলেগু কপি চলবে এবং বাতাসের অবস্থা দেখে যা বুঝতে পারছি, কাজটা সে যথাযথই করেছে। থ্রি চিয়ার্স টু ভ্রাতা দীপংকর দীপন। ’
ফারুকী আরও লিখেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে যেহেতু মেইনস্ট্রিমের বাইরে শিল্পীর ব্যক্তিগত ঢংয়ের সিনেমায় বিশ্বাস করি, সেহেতু আমি সব সময়ই চাই, আমাদের মেধাবী পরিচালকরা অঁতর সিনেমায় যুক্ত থাকুক বেশি বেশি। তা না হলে বাংলাদেশি নিউ ওয়েভ কেবল একটা সম্ভাবনা হিসেবেই থেকে যাবে। কারণ আমাদের এখানে একটা বিশাল শিক্ষিত দর্শক শ্রেণী গড়ে উঠেছে যারা ওয়ার্ল্ড সিনেমার চলন সম্পর্কে পুরাপুরি ওয়াকেবহাল। এদের সংখ্যা কিন্তু বিশাল। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সাথে তুলনা করলে আমরা দেখবো যে, অঁতর সিনেমা উপভোগ করার জন্য আমাদের মতো এতো বিশাল শিক্ষিত দর্শক শ্রেণী সেখানে নাই। এরাই আমাদের বিশাল সম্পদ, এরাই আমার মতো সাধারণ এক মানুষকে ভালোবেসে ‘তথাকথিত সেলেব্রিটি’ বানিয়েছে।
কিন্তু আমি এটাও বিশ্বাস করি, মেইনস্ট্রিম ম্যাটেরিয়েল সার্ভ করার জন্য আমাদের স্মার্ট পরিচালক দরকার। না হলে এই বিশাল জায়গাটা বেহাত হয়ে যাবে। সেই দিক থেকে দীপংকর দীপনের ছবির সাফল্য আমাদের ভীষণ আশাবাদী করে।
যদিও আমি খুব ভালো করেই জানি দীপংকর দীপন কেবল আপনাদের মেইনস্ট্রিম ম্যাটিরিয়াল দেয়ার ক্ষমতা রাখে তা না, সে আমাদের অঁতর সিনেমার পালে হাওয়া লাগানোর ক্ষমতাও রাখে। এবং কোনো এক অবসরে সে সেটা করবেও। লাভ ইউ, ব্রাদার। ’
‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিটির মূল ভাবনা ও কাহিনি লিখেছেন পুলিশের এডিসি সানী সানোয়ার। যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে স্প্ল্যাশ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা পুলিশ পরিবার কল্যাণ সমিতি লিমিটেড ও থ্রি-হুইলারস লিমিটেড। ছবিতে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, মাহিয়া মাহি, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, আলমগীর, আফজাল হোসেন, কাজী নওশাবা আহমেদ, সৈয়দ হাসান ইমাম, শিপন মিত্র। খলচরিত্রে আছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি তরুণ তাসকিন রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
এসও