সম্প্রতি ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী বলেছেন, “দু’জনে মিলেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বনিবনা না হলে একসঙ্গে মিথ্যা সুখে থাকার কী লাভ।
শ্রাবন্তী আরও বলেন, ‘আমি এখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। কাজ আর ছেলের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত। ঝিনুক এবার অষ্টম শ্রেণীতে। ওর স্কুলে যেতে সুবিধা হবে বলে বেহালা থেকে বাইপাসের কাছে বাসা নিয়েছি। বেশ ভালো আছি মা-ছেলে। ’
বিচ্ছেদের হতাশা ছুঁতে পারেনি শ্রাবন্তীকে, এমনটাই জানিয়ে তিনি বললেন, ‘বিষন্ন হয়ে নিজের ক্ষতি করতে পারবো না। কারণ আমার ছেলে, বাবা-মা সবসময় আমায় আগলে রাখে। মাঝে মাঝে ভাবি এতো ভালোবেসেও আমি ভালোবাসা পেলাম না। তারপর ভাবি বাইরের লোক যাই বলুক, আমি তো জানি কারও সঙ্গে কেনো সংসার করতে পারিনি। বাইরের লোক কী বললো, তা নিয়ে আর ভাবি না। তারা কেউ আমার সন্তানকে বড় করবে না। একটাই জীবন। সৎ পথে কাজ করলে ঈশ্বর পাশে থাকবেনই। ’
নিজেকে আবেগপ্রবণ দাবি করে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি খুব আবেগপ্রবণ। সংসার করতে ভালোবাসি। কিন্তু এখন মনে হয়, শুধু বর থাকলেই সংসার হবে এমন নয়। বাবা-মা, ছেলেকে নিয়েও সংসার হয়। প্রতিটা মেয়েই চায় সংসার করতে। কিন্তু আমার কপালে যা লেখা ছিলো তাই হয়েছে। ভবিষ্যৎ কেমন হবে জানি না। তবে আমি আগের থেকে পরিণত হয়েছি। দিদি, দিদির বন্ধুরা আছে। ওরা আমাকে একাকিত্বে ভুগতে দেয় না। এখন কাজেও অনেক বেশি মন দিতে পারছি। মাঝে এক বছর কাজে ততোটা মন দেইনি। আর ছেলেকে নিয়েও ভাবনা নেই। ও আমার সেরা বন্ধু। খুব ভালো বোঝে আমাকে। ’
গত বছর ধুমধাম করে কৃষাণ বিরাজকে বিয়ে করেছিলেন শ্রাবন্তী। এটি ছিলো তার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে, ২০০৩ সালে নির্মাতা রাজীব কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে ১৩ বছরের সংসারের ইতি টানেন তারা। ঝিনুক নামে একটি ছেলে রয়েছে প্রাক্তন এই দম্পতির।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৭
বিএসকে