এদিকে ছবি মুক্তির আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে গেলেন চিকিৎসা নিতে। ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’-এর মাধ্যমে ২০ অক্টোবর বড়পর্দায় ফিরছেন ডিপজল, অচিরেই সুস্থ হয়ে দেশেও ফিরবেন তিনি।
চলচ্চিত্রে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের অবদান কতোখানি? এ নিয়ে তর্ক হতে পারে। কেউ বলবেন প্রযোজক হিসেবে তিনি সফল। কিন্তু খলনায়ক ডিপজল যতোটা জনপ্রিয় ততোটাই ক্ষতিকর। কেননা আপত্তিকর লিরিক ও অঙ্গভঙ্গির গানের মাধ্যমে চিত্রপাড়ায় অশ্লীলতা জিইয়ে রেখেছিলেন তিনি। খলনায়ক হিসেবে দ্রুত উত্থান হলেও এক ঘেয়েমি অভিনয় আর রুচিহীন সংলাপের কারণে ক্যারিয়ারে ধসও নামে দ্রুত। কয়েক বছরেই ডিপজল অপাংক্তেয় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করলেন।
চলচ্চিত্রে ডিপজলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিলো নায়ক হিসেবে। প্রথম ছবি ‘টাকার পাহাড়’। ‘হাবিলদার’-এও নায়ক ছিলেন। এরপর দীর্ঘ বিরতি। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘তেজী’র (১৯৯৮) মাধ্যমে ডিপজল ভিলেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আলোচনায় আসেন। তখন ডিপজল মানেই ছবি হিট। টানা কয়েক বছর খলনায়ক হিসেবে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করার পর আবার ছেদ পড়ে।
২০০৪ সালে এফ আই মানিকের ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবি দিয়ে নতুনরূপে হাজির হন ডিপজল। উপহার দেন ‘দাদীমা’, ‘চাচ্চু’, ‘পিতার আসন’ প্রভৃতি ছবিগুলো। চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের মতে, এ সময়ের ডিপজলের কাজগুলো চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ এ সময়েই গল্পের মূল চরিত্রে অভিনয় করে সুস্থধারা ও ব্যবসাসফল ছবিতে অবদান রাখতে সক্ষম হন ডিপজল। এরই ধারাবাহিকতা বলা চলে ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ ছবিটি।
তবে আশঙ্কার ব্যাপার, ডিপজল শারীরিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন। এরই প্রভাব পড়েছে ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’-এর ট্রেলার ও গানে। এ অবস্থায় ডিপজল এই ছবিতে সাফল্য পেলেও চলচ্চিত্রে কতোটা ফিরতে পারবেন, সেটি দেখার বিষয়। অন্যদিকে ‘শিকারি’, ‘আয়নাবাজি’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও ‘ডুব’-এর মতো অত্যাধুনিক চলচ্চিত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি নিজেকে কতোটা বদলাতে পারবেন, প্রশ্ন রয়ে যায়।
* ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’-এর ট্রেলার:
* ডিপজল-মৌসুমীর গান:
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এসও