মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে কলকাতার বিএম বিরলা হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগেও ভুগছিলেন এই অশীতিপর সংগীতশিল্পী।
হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘বিকেলে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় গিরিজা দেবীর অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন ছিল। হাসপাতালে এনেই তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয় এবং সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। কিন্তু রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ’
১৯২৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের বারানসিতে জন্মগ্রহণ করা গিরিজা দেবী প্রথমে খেয়াল ও টপ্পায় দীক্ষা নেন সংগীতশিল্পী ও সারেঙ্গিবাদক সারজুপ্রসাদ মিশ্রর কাছে। পরে তিনি আরও বিভিন্ন সংগীতরীতি রপ্ত করেন চাঁদ মিশ্রর কাছে।
বেনারস ও সেনিয়া ঘরানার এই কিংবদন্তি শিল্পী পরিচিত ছিলেন ধর্মশাস্ত্রীয় সংগীতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় ধারা অকৃত্রিম ভাবপ্রধান গীতি ঠুমরি’র রানি বলে।
ছয় দশকের বেশি সংগীতজীবনে গিরিজা দেবী পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা ও পুরস্কার। এরমধ্যে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী (১৯৭২), পদ্মভূষণ (১৯৮৯), পদ্মবিভূষণ (২০১৬), সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (১৯৭৭), সংগীত নাটক আকাদেমি ফেলোশিপ (২০১০) ও মহাসংগীত সম্মান পুরস্কার (২০১২) উল্লেখযোগ্য।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এইচএ/