এতে সংগীত পরিবেশন করবেন দুই প্রজন্মের দু’জন শিল্পী। এরা হলেন আব্বাসউদ্দীন আহমদের পুত্র বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ, লেখক ও পণ্ডিত মোস্তফা জামান আব্বাসী ও নাতনি ড. নাশিদ কামাল।
মোস্তফা জামান আব্বাসী বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে গায়ক ও লেখক হিসেবে সুপরিচিত। তিনি একইসঙ্গে পণ্ডিত, সংগীতশিল্পী ও সমাজকর্মী। সংগীত, দর্শন, জীবনী, ভ্রমণকাহিনি, প্রবন্ধ ও উপন্যাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি প্রায় পঞ্চাশটি বই লিখেছেন। দীর্ঘ ১১ বছর তিনি ‘জাতীয় সংগীত কমিটি’র চেয়ারম্যান ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশিষ্ট এ ব্যক্তি বর্তমানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্স স্কলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. নাশিদ কামাল কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদের ভক্ত ও নাতনি। তিনি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের নজরুল গীতি, আধা-শাস্ত্রীয় সংগীত ও উর্দু গজলগুলির অসামান্য চর্চা করেছেন। তিনি ওস্তাদ পি সি গোমেস, ওস্তাদ আক্তার শাদমানি, ওস্তাদ কাদের জামিরী ও পণ্ডিত জাশরাজের মতো সংগীতবোদ্ধাদের কাছে তালিম নিয়েছেন। রেডিও ও টিভির একজন নিয়মিত কর্মী ড. নাশিদ কামাল। তিনি কলকাতার টেরা টিভি ও মঞ্চে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করেন। ২০০৯ সালে নজরুল একাডেমি থেকে নজরুল পুরস্কার জিতেছেন গুণী এ শিল্পী।
ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের আয়োজনে অনুষ্ঠান শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে সঙ্গীতানুষ্ঠানটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত বলে জানানো হয়েছে আইজিসিসির পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এইচএমএস/এএ