তিন ধাঁচের তিনটি ছবি দেখতে হলে ভিড় করছেন দর্শক। দীর্ঘদিন পর কাছাকাছি সময়ে ভিন্ন স্বাদের তিনটি ছবির সহাবস্থান ও দর্শক চাহিদার বিষয়টি চোখে পড়ার মতো।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ সাম্প্রতিক কালের অন্যতম আলোচিত ছবি। সুনির্মাণ, টানটান উত্তেজনা, সর্বাধিক হল পাওয়া, সব শ্রেণির দর্শককে হলমুখী করা ও ব্যবসা সফলতা— এমন কয়েকটি কারণে ছবিটি এখনও দর্শক চাহিদার তুঙ্গে। এর ফলে চতুর্থ সপ্তাহেও (ডুব-এর মুক্তির সময়) কিছু নতুন হল পেয়েছে এটি। এখনও ৩০-এর বেশি হলে চলছে এটি। নতুন সপ্তাহে হল প্রাপ্তির দিক দিয়ে ছবিটি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ডুব’-এর কাছাকাছি।
২৭ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া যৌথ প্রযোজনার ‘ডুব’ প্রথম সপ্তাহে ৩৯টি প্রেক্ষাগৃহ পেয়েছে। যা শতাধিক হল পাওয়া ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’-এর দ্বিতীয় সপ্তাহের হলের তুলনায়ও কমই। অবশ্য নির্মাতা ফারুকীর দৃষ্টিতে তার ছবির জন্য ৩৯টি হল যথেষ্টই।
অঁতর বা বিকল্প ধারার ছবি হিসেবে ‘ডুব’ বাণিজ্যিক ধারার ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ আর ‘ঢাকা অ্যাটাক’কে ছাড়িয়ে গেছে অন্যভাবে। প্রথম কোনো বাংলাদেশি ছবি হিসেবে একই দিনে তিনটি দেশে (বাংলাদেশ, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া) মুক্তি পেয়েছে ‘ডুব’। পাশাপাশি কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও পেয়েছে প্রশংসা ও পুরস্কার।
মূলধারা ও বিকল্পধারার ছবির শিল্পী-কুশলীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিরোধ লক্ষ্যণীয়। ‘মনপুরা’র পর ‘আয়নাবাজি’র বিপুল সফলতা এই বিতর্ক যেন অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। এবার ‘ডুব’ও নিশ্চয়ই জবাব দেবে। বাণিজ্যিক ধারার অধিকাংশ ছবি ফ্লপ করলে কিছু আসে যায় না। কিন্তু বিকল্প ধারার একটি ‘আয়নাবাজি’ বা ‘ডুব’ ব্যর্থ হলে সমালোচনায় মেতে ওঠেন তথাকথিত সিনেবোদ্ধারা। এই চর্চা থেকে বের হয়ে আসার সময় এসে গেছে বলে!
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে দিনবদলের হাওয়া লেগেছে। বহুমাত্রিক ছবি তৈরির নির্মাতারা এগিয়ে এসেছেন, সফল হচ্ছেন। সব শ্রেণির দর্শকই প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন। তাদের জন্য নিয়মিতভাবে মুক্তি পাচ্ছে মূলধারা ও বিকল্পধারার ছবি। তথ্য ঘেঁটে আপনি সহজেই অবগত হতে পারছেন কোনটা কেমন ছবি। এ নিয়ে বিরোধ বা বিতর্ক কেন? আপনার রুচি বুঝে পাশের হলে গিয়ে দেখে নিন আপনার ছবিটি, ব্যস…
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
এসও