জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদ তার প্রথম ছবি ‘জয়যাত্রা’ নির্মাণের উদ্দেশ্য এভাবেই শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন। পরিচালক হিসেবে অভিষেক চলচ্চিত্রেই পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।
‘দারুচিনি দ্বীপ’ খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তখন বয়স পাঁচ বছর। পরিবারের সবাই বেশ কিছুদিন ক্যাম্পে আটকা পড়েছিলেন। সেখানে অনেক কিছু ঘটে। সে কথাগুলো আজও মনে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র নির্মাণের পেছনে এই জিনিসটাও আমাকে অনেকটা তাগিদ দিয়েছিল।
অনেকেই বলেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে লগ্নি করা অর্থ ফেরত পাওয়া যায় না। তাই এ ধরনের ছবি নির্মাণের প্রতি আগ্রহ কম। এ প্রসঙ্গে তৌকীর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ছবির আয়োজন সবসময় বেশি। বড় পরিসরে ছবিগুলো নির্মিত হয়। তাই বাজেটও বেশি লাগে। কিন্তু সে অনুযায়ী অর্থ ফেরত পাওয়া যায় না। ‘জয়যাত্রা’র প্রযোজক আমি নিজেই ছিলাম। ছবিটি নির্মাণ করে পুরো টাকা আসেনি।
তৌকীর মনে করেন মুক্তিযুদ্ধের ছবি বিভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে হতে পারে। প্রেক্ষাপট ঠিক রেখে নতুন গল্প আসতে পারে। ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের ওপর আরও বহু ছবি হবে বলে তার বিশ্বাস। নতুন প্রজন্ম থেকেও ভালো ভালো কাজ তিনি আশা করেন। তিনি নিজেও ’৭১ নিয়ে আরও সিনেমা করতে চান। ইচ্ছের কথা জানালেও কবে তা শুরু করবেন সেটি এখনও ঠিক করেননি।
‘জয়যাত্রা’য় অভিনয় করেছলেন বিপাশা হায়াত, আজিজুল হাকিম, মাহফুজ আহমেদ, হুমায়ুন ফরীদি, তারিক আনাম খান, আবুল হায়াত, মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী প্রমুখ।
দীর্ঘদিন ছোটপর্দা মাতানো এই গুণী ব্যক্তিত্বের ছবিতে সবসময় দেশের বিভিন্ন সমস্যার চিত্র ওঠে এসেছে। সবশেষ তিনি ‘অজ্ঞাতনামা’ ও ‘হালদা’ নির্মাণ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
জেআইএম/আইএ