উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি ৪০টি চলচ্চিত্র মনোনীত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে শিশুতোষ ও শিশু নির্মাতাদের ছবি।
শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্র বিভাগে পৃথকভাবে দেওয়া হবে তিনটি করে পুরস্কার। এগুলো হলো- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার। শিশুতোষ চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে ক্রেস্ট ও সনদের পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৫০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার থাকবে ২৫ হাজার টাকা। শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারের অর্থমূল্য থাকবে ৫০ হাজার টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ৩০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার থাকবে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া সমাপনী দিনে উৎসবে অংশগ্রহণ করা চলচ্চিত্রের সব নির্মাতাকে দেওয়া হবে সনদ।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এই উৎসবের উদ্বোধন হবে। এখানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি শিল্পী মুস্তাফা মানোয়ার, চলচ্চিত্র সংগঠক মুনিরা মোরশেদ মুন্নি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী। সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক মো. বদরুল আনম ভূঁইয়া।
চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি উৎসবে থাকবে সেমিনার ও কর্মশালা। ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় রয়েছে ‘চলচ্চিত্র অনুধাবন’ শীর্ষক কর্মশালা। এছাড়া ২৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
বিএসকে