শীত উপেক্ষা করে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তৃতীয় দিনের উৎসবে বাঁশির সুর শুনতে ঘর ছেড়ে এসেছেন অনেকেই। মধুর সে সুর মন মাতাল করে দেয়।
মঞ্চজুড়ে অন্ধকার। হাজারো দর্শকের চোখে ঘোর। হঠাৎ মঞ্চের মাঝ থেকে দ্যুতি ছড়াতে শুরু করলো। বসে আছেন একজন সুসজ্জিত মানুষ। তার চারপাশ থেকে সূর্যের মতো ছড়িয়ে পড়ছে আলোর রেখা। মানুষটি এবার হাতের বাঁশিটা তুলে মুখের কাছে নিলেন। মোহনীয় সুরের যাদুতে থেমে গেছে অন্য সব শব্দ। মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসার স্পর্শ মাখা বাঁশির সুরে তিনি সবাইকে ভুলিয়ে দিলেন জাগতিক সবকিছু। বাঁশির সে সুরে মন কেমন করে। হৃদয়ে জাগে তৃষ্ণা।
পাঁচ দিনব্যাপী বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতের আয়োজনে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাঁশির সুর। মাঝরাতে দর্শক-শ্রোতাদের বাঁশি বাজিয়ে শোনান গাজী আব্দুল হাকিম। এ সময় তার সঙ্গে তবলা বাজান দেবেন্দ্রনাথ চ্যটার্জী এবং তানপুরা পরিবেশন করেন বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের সামিন ইয়াসার ও এসএম আশিক আলভী।
হেমন্তের কুয়াশা মাখা রাতে স্নিগ্ধ সে পরিবেশনা ঢেউ তোলে দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ে। সুরের অনুরণনে সকলে ভাসেন সুন্দরের অবগাহনে।
উৎসবের তৃতীয় দিনে আরো সংগীত পরিবেশন করেন আবির হোসেন (সরোদ), পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর (ধ্রুপদ), বিদূষী কালা রামনাথ (বেহালা) ও পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী (খেয়াল)। উৎসবে পরিবেশনা চলবে ভোর ৫টা পর্যন্ত।
চতুর্থ দিনের আয়োজন:
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনের উৎসবে মনিপুরি, ভরতনট্যম ও কত্থক নৃত্য পরিবেশন করবেন সুইটি দাস, অমিত চৌধুরী, স্নাতা শাহরিন, সুদেষ্ণা স্বয়মপ্রভা, মেহরাজ হক ও জুয়াইরিয়াহ মৌলি।
সরোদ পরিবেশন করবেন বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয় ও পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, খেয়াল পরিবেশন করেবন ওস্তাদ বশির খান ও পণ্ডিত যশরাজ, বেহালা পরিবেশন করবেন ড. মাইশুর মঞ্জুনাথ, চেলো পরিবেশন করবেন সাসকিয়া রাও দ্য-হাস এবং সেতার পরিবেশন করবেন পণ্ডিত বুদ্ধাদিত্য মুখার্জি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এইচএমএস/এসআই