মাইলসের অনান্য সদস্যদের ‘মাইলস’ নাম ব্যবহারে নিষেধ করে উকিল নোটিশও পাঠান শাফিন আহমেদ। তবে এ বিষয় নিয়ে মাইলসের অন্যান্যদের পক্ষ থেকে এতদিন সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রথমেই বলা হয়েছে, “মাইলস কখনোই ‘মাইলস ব্যান্ড লি.’ নয়। ব্যান্ডটির ৩৮ বছরের ইতিহাস আছে। দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে নামটি সমানভাবে পরিচিত। ‘মাইলস ব্যান্ড লি.’ বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হয়েছে মাত্র এক মাস আগে। ঘোষণার পূর্বে এ নামটি কেউ শোনেনি। ১৯৯৩ সালে হামিন আহমেদের নামে নিবন্ধিত হয় মাইলস। আর ‘মাইলস ব্যান্ড লি.’ নিবন্ধিত হয়েছে মাত্র এক মাস আগে। এটা প্রতারণামূলক এবং সুবিধাবাদী দাবি। ”
শাফিন আহমেদ নিজেকে মাইলসের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য বলে দাবি করেন। কিন্তু মাইলস বলছে ভিন্ন কথা। ফেসবুকের ওই বক্তব্যে বলা হয়, “শাফিন আহমেদ মাইলসের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য নন। ব্যান্ডের তৃতীয় লাইন আপে হামিন আহমেদের সুপারিশে তাকে ব্যান্ডে নেওয়া হয়। মাইলস গড়ে উঠেছে ফরিদ রশিদের হাতে। শাফিন লন্ডনে থাকার সময়ও মাইলস পুরোদমে কাজ করেছে। এই পাঁচ বছর অন্তত ১০০টি একক শো করেছে। শাফিন লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর হামিন ও মানামই তাকে পুনরায় যুক্ত করেন। ”
মাইলসের অধিকাংশ গান নিজের দাবি করে শাফিন আহমেদ বলেছিলেন, মাইলসের ৮৪টি গানের মধ্যে ৪৬টি গান আমার গাওয়া। অন্যদিকে মাইলস বলছে, ‘অধিকাংশ গান আমার’—শাফিনের এই কথাটি মিথ্যা।
“মাইলসের হয়ে মাত্র ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শাফিন। ‘চাঁদ-তারা’, ‘ধিকিধিকি’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘পিয়াসি মন’, ‘ভুলবো না তোমাকে’সহ মাইলসের অনেক জনপ্রিয় গানের সুর-সংগীত মানাম আহমেদের। এই গানগুলো গেয়েই শাফিন আহমেদ আজকের অবস্থানে এসেছেন”, মাইলসের ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
জেআইএম/এমজেএফ