শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর রবীন্দ্রসদন থেকে চার কিলোমিটার দূরে কেওড়াতলা (কালীঘাট) মহাশ্মশানে সুপ্রিয়ার শেষকৃত্যানুষ্ঠান হয়।
সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুপ্রিয়া (৮৩)।
তার প্রয়াণের খবর পেয়ে এই অভিনেত্রীর বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং টলিউডের নবীন-প্রবীণ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
স্বজনদের সমবেদনা জানিয়ে বের হয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিয়া দেবীর প্রয়াণে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
সুপ্রিয়ার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পরিকল্পনাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, বেলা ৩টা পর্যন্ত সুপ্রিয়ার মরদেহ তার বাসভবনে রাখা হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় রবীন্দ্রসদনে। সেখানে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রয়াত এ অভিনেত্রীর মরদেহে সর্বস্তরের জনতাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর কেওড়াতলা মহাশশ্মানের জন্য মহাপ্রস্থান শুরু হয় সুপ্রিয়ার মরদেহের।
প্রায় ৪ কিলোমিটার পথের এ মহাপ্রস্থানে পা মেলান মমতাসহ রাজ্যের মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সাধারণ মানুষ। এরপর কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় সুপ্রিয়ার।
মুখ্যমন্ত্রী সকাল থেকে শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত প্রায় পুরোটা সময়ই প্রয়াত অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন। যেটাকে বিরল ঘটনা হিসেবে দেখছেন সুপ্রিয়ার স্বজন-শুভানুধ্যায়ীরা।
১৯৩৩ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন বার্মার মিতকিনায় জন্মগ্রহণ করেন সুপ্রিয়া। বাবা ছিলেন আইনজীবী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন বার্মা থেকে কলকাতা চলে আসে সুপ্রিয়ার পরিবার। মাত্র সাত বছর বয়সে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন তিনি। এরপর পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে পুরো ভারতে নন্দিত হয়ে ওঠেন মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করা সুপ্রিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৯ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮
ভিএস/এইচএ/
** চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী