গ্রামের এক গরিব ঘরের ছোট্ট মেয়ে আমলকী। বাবা সারাদিন জুয়া খেলে।
পিসির বাড়িতেই আমলকীরা থাকতো। সেই বাড়ির উঠোনের একটা গাছ দেখিয়ে মা প্রায় আমলকীকে বলতেন, ‘আমি যখন থাকবো না, তখন বুঝবি তোর মা ওই গাছের মধ্যে আছে। ওটাই তোর মা। ’
মায়ের কাছে বারবার এ কথা শুনে আমলকী আর কিছু বুঝুক না বুঝুক, এই কথাটা বুঝে গিয়েছিল। মায়ের মৃত্যুর পর বাবা তাকে ছেড়ে পালিয়ে যান। পিসিও উঠোনের গাছটাকে বিক্রি করে দেন। গাছটিকে কেটে ফেলা হয়। কিন্তু আমলকী গাছের পিছু ছাড়ে না। গাছটাই তো তার মা! কাঠ চোরাইয়ের দোকান থেকে কাঠের দোকান, সেখান থেকে আসবাবের দোকান-সবখানে ঘুরে চলে আমলকী।
কাকতালীয়ভাবে যেখানে যেখানে আমলকী যায়, সেখানেই সে তার বাবাকে দেখতে পায়। তাকে দেখে বাবা ভাবেন, আমলকী তার পেছন পেছন হাজির হয়েছে। মেয়ের দায়িত্ব এড়ানোর জন্য বাবা আবার সেই জায়গা থেকে পালান। কিন্তু এই বাবাকেই একদিন বদলে দিতে চায় আমলকী।
আমলকীকে নিয়ে গল্প রচনা থেকে শুরু করে সব কিছুই সাহানার পরিকল্পনা। এই ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে রয়েছে একটি বাচ্চা মেয়ে। আমলকী চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছে ৬ বছরের মেয়েটি, তার আসল নাম ঐশ্বর্য রায়।
সাহানা যে বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতে সিদ্ধহস্ত এর প্রমাণ তিনি আগেও দিয়েছেন। ভূতু, পটলকুমার গানওয়ালা প্রভৃতি ধারাবাহিক এসেছে সাহানার মস্তিষ্ক থেকেই। এবার দর্শকদের জন্য নিয়ে এনেছেন ‘আমলকী’।
বাচ্চারাই কেন তার গল্পের মূল চরিত্র প্রশ্নের উত্তরে সাহানা বাংলানিউজকে বলেন, ওরা নিষ্পাপ। তাই ওদের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে। আমি অনেক নিশ্চিন্ত বোধ করি ওদের নিয়ে কাজ করতে।
তিনি বলেন, এক অসম্পূর্ণ মেয়ের সম্পূর্ণ হয়ে ওঠার কাহিনী আমলকী। মেয়েটি নিজের বোধ দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে প্রমাণ করে সে পরিপূর্ণ। তার ভাষা নেই, কিন্তু আশা আছে। তার এই আশাই জি বাংলার দর্শকদের মুগ্ধ করছে ভূতু, পটলকুমারের মতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ২ মার্চ, ২০১৮
এসএস/আরআর