সেখানে ‘আম্মাজান’ খ্যাত এই নির্মাতা মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি এখানেই চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) নিউ ইয়র্ক থেকে মোবাইলে কাজী মারুফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাবা চিকিৎসা নিতে এখানে এসেছেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন’।
এদিন মারুফ তার ফেসবুকে কাজী হায়াতের কিছু ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন কাজী হায়াৎ।
ছবির ক্যাপশনে মারুফ লিখেন, বাবার হার্টের রিং পরানোর জন্য ডাক্তার শর্মাকে ধন্যবাদ। এনজিওপ্লাস্টি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০০৫ সালে বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি করার জন্য আবারও ডাক্তার জাহাঙ্গীর কবিরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কিছুদিন আগে কাজী হায়াৎ বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, ১৯৯৩ সালে তার হার্টে প্রথম ব্লক ধরা পড়লে রিং পরানো হয়। ২০০৫ সালে তার হার্টে আবার ব্লক ধরা পড়লে ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হয়। এরপর দীর্ঘদিন তিনি ভালো ছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে তার হার্টে ফের ব্লক ধরা পড়ে। যে কারণে তিনি যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। অভিনয় ও নির্মাণেও নিয়মিত হতে পারছিলেন না।
অসুস্থতার পাশাপাশি কাজী হায়াৎ আর্থিক সংকটেও পড়েন। তাই নিজের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হয়েছে বহু ‘সুপারহিট’ ছবির এই নির্মাতাকে। সম্প্রতি তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৮
জেআইএম/আরবি