ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেই এ মামলার বিষয়ে দু’রকম তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কিছু সংবাদমাধ্যম ধর্ষণ মামলার তদন্তের তথ্য দিলেও কিছু সংবাদমাধ্যম বলছে, আমানের আইনজীবী জিনাতকে তার স্ত্রী দাবি করায় এ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।
একাধিক সংবাদমাধ্যম জিনাতের অভিযোগের বরাত দিয়ে বলছে, ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আমান খান্না তার কাছে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার রুপি মূল্যের স্বর্ণালংকার চান। কিন্তু সেসব দিতে অস্বীকার করলে আমান খান্না জালিয়াতির মাধ্যমে নকল দলিল তৈরি করে জিনাতের পাঁচটি ফ্ল্যাট নিজের নামে করে নেন।
এই প্রেক্ষাপটে ১০ জানুয়ারি খান্নার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতারণা মামলা করেন ‘দোস্তানা’খ্যাত অভিনেত্রী। আর এই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং পরের মাসেই তিনি জামিনে মুক্তি পান।
বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) আমান খান্নার নামে নতুন করে ধর্ষণ ও প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি রুপির সম্পত্তি আত্মসাতের মামলা করেন জিনাত। মিরর নাও’র প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, জিনাতকে ধর্ষণ করেছেন আমান খান্না এবং নিকাহ বা বিয়ের জাল কাগজপত্র তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয়, বিষয়টি গোপন রাখার জন্য তাকে হুমকিও দেওয়া হয়।
ইন্ডিয়ান প্যানেল কোড (আইপিসি) ৩৭৬, ৪২০, ৪০৬, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৫০৬ ধারায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
মামলাটির বিষয়ে সংবাদমাধ্যম বলছে, জুহু থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে স্থানীয় আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুরো বিষয়টি পুলিশের অপরাধ শাখা দেখছে। তদন্ত চলছে।
যদিও আমান খান্নার আইনজীবীর বরাতে কিছু সংবাদমাধ্যম বলছে, মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে হয়েছে। জিনাতকে বিয়ে করেছেন আমান খান্না। তাই ৩৭৬ ধারা আরোপ করার কোনো যুক্তি নেই।
আদালতকে আইনজীবী বলেন, ‘আমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ মিথ্যা। আমার মক্কেল এবং অভিনেত্রী স্বামী-স্ত্রী। তাই ৩৭৬ ধারার আরোপের কোনো প্রশ্নই আসে না। প্রভাবশালী কেউ মামলাকে প্রভাবিত করছে’।
যদিও জিনাত ও আমান খান্নাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে একবার আমানই বলেছিলেন, তারা দু’জন বন্ধু। আর কিছু নয়।
বর্ষিয়ান অভিনেত্রী জিনাত আমান ১৯৭১ সালে ‘হরে রামা হরে কৃষ্ণা’ ছবির মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন। শেষবার ২০১৪ সালে বড় পর্দায় হাজির হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
জেআইএম/এইচএ/