জানা যায়, ২০০১ সালে একটি কন্যাশিশুকে দত্তক নেন কুমার শানু। মেয়েটির নাম শ্যানন।
শ্যাননকে দত্তক নেওয়ার খবর লুকিয়ে রাখা প্রসঙ্গে কুমার শানু বলেছেন, ‘সমাজ এই বিষয়টিকে কীভাবে নেবে তা ভেবে কখনও এই সত্যিটাকে বলতে চাইনি। কারণ আমি নিশ্চিত ছিলাম না সমাজ বিষয়টিকে কীভাবে দেখবে। কিন্তু সত্যি কোনোদিন চাপা থাকে না। শ্যাননকে দত্তক নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেই গেছে। সে আমার দত্তক মেয়ে, তাকে নিয়ে আমি গর্বিত। ’
মেয়ের প্রশংসা করে কুমার শানু বলেন, ‘শ্যানন কঠোর পরিশ্রমী একজন মেয়ে। ইতিমধ্যে সে অনেক কিছু অর্জন করেছে। হলিউডের অনেক মানুষ এখন আমাকে চেনে শুধু তার নামে। আমাদের পরিবারের সবার জন্য গর্বের একটি বিষয়। ’
১৯৮৬ সালে বাংলাদেশি ছবি ‘তিন কন্যা’য় গান গেয়ে প্লেব্যাক ক্যারিয়ার শুরু করেন কুমার শানু। পরে ১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হিরো হিরালাল’ ছবিতে গান গেয়ে বলিউডে পা রাখেন তিনি।
এরপর ‘আশিকি’ ছবির ‘এক সানাম চাহিয়ে’, ‘তু মেরি জিন্দেগি হ্যায়’, ‘নজর কে সামনে’, ‘জানে জিগার জানেমান’, ‘অব তেরে বইন জি-লেঙ্গে হাম’ ও ‘ধীরে ধীরে সে’ গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়ে দারুণ জনপ্রিয়তা তৈরি হয় তার। সেরা গায়ক হিসেবে পরপর পাঁচবার ফিল্ম-ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ৬০ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
বিএসকে