ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

ব্যাংকক নেওয়া হবে আমজাদ হোসেনকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
ব্যাংকক নেওয়া হবে আমজাদ হোসেনকে আমজাদ হোসেন

ঢাকা: গুরুতর অসুস্থ প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নেওয়া হতে পারে।

কিংবদন্তি এই নির্মাতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আর সেখানে নিয়ে যাওয়াসহ চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় বহন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বাংলানিউজকে বলেন, একুশে পদক বিজয়ী নন্দিত চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেনকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে পাঠানোর হতে পারে। তার চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছেন,’ যোগ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সোহেল আরমান বাংলানিউজকে বলেন, বিদেশে বাবার সকল চিকিৎসা ব্যয় বহনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তর কথা আমাদের জানানো হয়েছে। তথ্যটি পাওয়ার পর আমরা ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে যোগাযোগ করি। তারা বাবার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট জানতে চেয়েছে। আমরা যাবতীয় সকল রিপোর্ট সেখানে পাঠিয়েছি। বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখনই বাবাকে নিতে বলবে তখনই আমরা ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো।

গত ১৮ নভেম্বর সকালে ব্রেন স্ট্রোক করার পর আমজাদ হোসেনকে রাজধানীর বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৭৬ বছর বয়সী আমজাদ হোসেন একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি ‘ভাত দে’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’র মতো কালজয়ী অনেক সিনেমা নির্মাণ করেছেন।

‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
জেআইএম/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।