এ প্রসঙ্গে দেশ বরেণ্য গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার চার-পাঁচ বছর (সম্ভাব্য সময়) পর আলীর কাছে আসেন বুলবুল। তিনি দীর্ঘদিন তার সঙ্গেই ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আলী সম্পর্কেও অনেক বলার আছে। তার হাতে বুলবুলের মত একজন সঙ্গীত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বুলবুলের চলে যাওয়াটা আলী মেনে নিতে পারেনি, সত্যিই। যে কারণে আলী আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এখন একটাই প্রার্থনা- দেশবাসীর দোয়ায় আলী আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।
আলাউদ্দীন আলীর অসুস্থতা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন আলীর সঙ্গে ছিল বুলবুল। আলী বুলবুলকে যেমন স্নেহ করতেন, তেমনি শাসনও। মৃত্যুর আগেরবার বুলবুল হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় আলী খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। আমাকে বলেছেন, জামান ভাই- বুলবুলকে কত শাসন করেছি। কত রাগ দেখিয়েছি। দীর্ঘ সময়ে কত কী বলেছি। তার অসুস্থতা আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এবার তো বুলবুল চলেই গেলো। একটা বিষয় আমাকে খুব ভাবাচ্ছে- বুলবুলের চলে যাওয়ার পরেই আলী আর স্বাভাবিক জীবনে নেই। স্বাভাবিক অসুস্থ, তাও না। একেবারে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। কতটা কষ্ট পেলে একজনের শোকে অন্যজনের এই পরিণতি হয়, তা আলীর আজকের অবস্থা দেখে বুঝতে পারছি।
এ প্রসঙ্গে গত মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) আলাউদ্দীন আলীর স্ত্রী ফারজানা মিমি বাংলানিউজকে বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুটা মেনে নিতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার বার বার তার কথাই শুধু বলছিলেন। সারা দিন অসুস্থ ছিলেন। অবশ্য অনেকদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তিনি অতিমাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর রাত ১১টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
আলাউদ্দীন আলী’র শারীরিক অবস্থার খানিকটা উন্নতি হয়েছে। নিউমোনিয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে সুরসম্রাটকে নিয়ে আর ভয়ের কিছু থাকবে না বলে ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
ওএফবি